ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: করোনাভাইরাস মহামারীর সময়েও নতুন অভিবাসন ইস্যুতে কানাডা ১৫৪ বছরের ইতিহাস ভেঙেছে। ৪ লাখ ১ হাজার নতুন অভিবাসীকে ২০২১ সালে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১৮৬৭ সালে কানাডা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৩ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো অভিবাসীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছিল। চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো অভিবাসীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে- যা কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফ্যুজি এ্যান্ড সিটিজেনশিপ মন্ত্রী শন ফ্যাজার এ প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর (করোনা মহামারি চরমে থাকাবস্থায়) আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিলাম। সেটি পূরণে সক্ষম হওয়ায় আমরা সকলে অভিভূত ও সন্তুষ্ট। কোন দেশ থেকে কতজন এসেছেন সেটি সুস্পষ্টভাবে জানানো না হলেও চীন, নাইজেরিয়া, ইরাক, তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক মানুষ রয়েছে সে তালিকায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি অভিবাসী এসেছেন যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে।
কানাডা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, অভিবাসীরাই কানাডার শ্রম সেক্টরের অন্যতম প্রধান অবলম্বন এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে কানাডার জনসংখ্যার ৩০% এ পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রতি ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটির মালিক হচ্ছেন অভিবাসীরা। স্বাস্থ্য-সেবা দফতরের প্রতি চারজনের একজন হলেন নবাগতরা। অর্থাৎ ফার্মাসিস্টদের ৩৭%, চিকিৎসকের ৩৬%, ডেন্টিস্টের ৩৯, রেজিস্টার্ড নার্সের ২৩% এবং সহকারি নার্সের ৩৫% হলেন নবাগত অভিবাসীরা। মন্ত্রী দ্বিধাহীন চিত্তে উল্লেখ করেছেন, মেধাবি অভিবাসীরাই কানাডার উন্নয়ন-অগ্রগতির চালিকাশক্তি। ২০১৯ সালেও কানাডা ৩ লাখ ৪১ হাজার অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছে। করোনার তাণ্ডবের মধ্যেও গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে স্বাগত জানায় এক লাখ ৮৪ হাজার অভিবাসীকে। মেধার চেয়েও মেধাবি লোকজনকে সবসময় অগ্রাধিকার দিচ্ছে কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান ৭ লাখের বেশি আমেরিকান বাস করছেন কানাডায়। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি হওয়ায় অনেকে কানাডাকে বসবাসের জন্যে নিরাপদ ভাবছেন।
আরো পড়ুন: