নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই চা বাগান সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে মৌলভীবাজারে। আগাছা পরিষ্কার করে পাহাড়-টিলায় রোপণ করা হচ্ছে নতুন চা গাছ। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব গাছগুলো তুলে নতুন গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, চা বাগান মালিকদের প্রতিবছর আবাদ বাড়াতে হবে আড়াই শতাংশ। সঙ্গে ষাটোর্ধ্ব গাছ তুলে রোপণ করতে হবে নতুন চারা। সে অনুযায়ী মৌলভীবাজারে চলছে বাগান সম্প্রসারণের কাজ। ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে চাষ উপযোগী করা হচ্ছে পাহাড়ি ঢালু জমি।
চা বাগানের কর্মীরা এখন ব্যস্ত নতুন বাগান তৈরিতে। বাগানের কর্মকর্তারা জানান, সরকার আড়াই শতাংশ নির্ধারণ করলেও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন শতাংশ। আগামী বছরের মধ্যে এসব বাগান থেকে পাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ এগিয়ে চলছে।
জেলার চা বাগানগুলোতে নতুন বিনিয়োগে চা শিল্পে আগের চেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে বলে জানায় বাগান কর্তৃপক্ষ। আর বাগান সম্প্রসারণের ফলে অধিক চা উৎপাদন দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
মৌলভীবাজার চা বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. নাদিম খান বলেন, প্ল্যান্টেশন যদি ৭০ ভাগে উন্নীত করা যায়, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি লাভবান হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রকল্প হাতে নেওয়াতে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বরেন তিনি।
চা বিশেষজ্ঞ সেলিম রেজা জানান, মাটিকে সংরক্ষণ করতে হবে, মাটির গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া চা চাষে ব্যবহার করতে হবে পরিবেশবান্ধব কীটনাশক। পাশাপাশি খরা মৌসুমে চায়ের গাছ টিকিয়ে রাখতে আধুনিক সেচের ব্যবস্থাও করতে হবে।
চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মৌলভীবাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে।
আরো পড়ুন: