3 TI ghoroa poddhotite lomba chul pabar Tips ৩টি ঘরোয়া পদ্ধতিতে লম্বা চুল পাবার টিপস
চুল নারীর সৌন্দর্যের প্রতীক। একজন নারীর সুন্দর, লম্বা ও ঘন চুল সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । সেটা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। কিন্তু প্রাকৃতিক আবহাওয়া ছাড়াও শারীরিক নানান সমস্যার কারণে চুলকে লম্বা ও ঘন হতে বাধাগ্রস্ত হয় । কিন্তু আমাদের ঘরেই রয়েছে চুলকে লম্বা ঘন ও সুন্দর করে তোলার ঔষধ। আসুন আমরা জেনে নিই যাক চুল লম্বা করার ৩টি ঘরোয়া সহজ উপায়।
১. আলু
আলু চুলের জন্য খুবিই উপকারী তা অনেকেই জানেন না। আলুর হচ্ছে টাকের সমস্যা দূর করার খুবিই গুরুত্বপুর্ন উপাদান। আলুতে ভিটামিন বি 6 আছে যা টাক পরা রোধে কাজ ভুমিকা রাখে। এছাড়াও আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফাইবার যা নতুন চুল গজানো, চুলের অকালপক্বতা রোধ ইত্যাদির জন্য গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা করে।
আলু ব্যবহারের পদ্ধতি :
একটি মাঝারি আকৃতির আলু কুচি কুচি করে কেতে চিপরে এর থেকে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে আলুর রস, একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা চামচ মধু খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। খুব ভালো করে মিশে গেলে, মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় আলতো করে ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে তা মাথায় ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
২. গ্রীণ টি :
সবুজ চা’র (গ্রীণ টি) স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে।এখন জেনে নিন গ্রীণ টি ব্যবহারে কি করে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুল পাওয়া যায়। গ্রীণ টির এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ ত্বকের জন্য যতটা কার্যকরী চুলের জন্য ঠিক ততোটাই উপকরাকরে । গ্রীণ টি চুলের আগা ফাটা রোধ করে যার ফলে চুল লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। এছাড়াও গ্রীণ টি চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোতে সাহায্য করে।
গ্রীন টি ব্যবহারের পদ্ধতি :
গ্রীণ টি কম বেশি সবাই বানাতে পারে । বাজারে গ্রীণ টি পাওয়া যায়। প্রথমে গ্রীণ টি বানিয়ে নিন । অনেকেই গ্রীণ টিতে মধু বা চিনি দিয়ে থাকে। কিন্তু চুলে ব্যবহারের জন্য গ্রীণ টি তে চিনি বা মধু দেবেন না। এক কাপ পরিমাণ গ্রীণ টি নিয়ে হালকা গরম থাকতেই পুরো চুলে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩. ডিম :
স্বাস্থ্য উজ্জল চুলের জন্য ডিমের ব্যাবহার খুবই গুরুত্বর্পুন । ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুল পড়া বন্ধ করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়োডিন যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের ঘনত্ব পরিমান বাড়ায়।
ডিম ব্যবহারের পদ্ধতি :
১ম ই একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন (চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। তারপর উপকরণগুলো খুব ভালো করে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এটা ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি পুরো মাথায় ম্যাসাজ করুন । ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করুন ভালো ফল পাবেন।