না, এটা কোন সাধারণ খিচুড়ি নয়, একেবারেই ভিন্ন স্বাদের একটি খিচুড়ি রেসিপি নিয়ে এসেছি আজ। যারা সরিষার তেল ভালোবাসেন, তাদের খুব ভালো লাগবে এই খিচুড়ি। অন্যদিকে যারা কালিজিরা এমনিতে খেতে পারেন না, তাঁদেরও ভালো লাগবে কালিজিরার স্বাদ। স্বাস্থ্য ও সুস্বাদ দুটি একসাথেই মিলবে দারুণ এই রেসিপিতে।
উপকরণ
পোলাও চাল – ২ পট/কাপ
মুগ ডাল – ৩/৪ পট/কাপ
পেঁয়াজ বাটা – ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা – ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া – ১/৩ চা চামচ
পেঁয়াজ কুঁচি – ৩ টেবিল চামচ
রশুন কুঁচি – দেড় চা চামচ
আস্ত কালিজিরা – ১ চামচ
আস্ত জিরা – ১/২ চা চামচ
আস্ত মেথি – ১/২ চা চামচ (মেথি খেতে না চাইলে দেবেন না)
আস্ত গরম মশলা – দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ প্রতিটা ৩ টা করে
কাঁচা মরিচ – ৬/৭ টা
লবন – স্বাদ মত
সয়াবিন তেল – ১/৪ কাপ
সরিষার তেল – ১/২ কাপ
ফুটন্ত পানি – প্রয়োজন মত
প্রণালী
-মুগ ডাল লাল করে টেলে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। পোলাওয়ের চাল-ও ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
-প্যানে সয়াবিন তেল আর অল্প সরিষার তেল গরম করে গরম মশলা দিয়ে হালকা ভেঁজে পেঁয়াজ আর আদা বাটা দিয়ে দিতে হবে। অল্প কষিয়ে নিয়ে হলুদ-মরিচ-জিরা গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিয়ে পোলাওয়ের চাল আর মুগ ডাল দিয়ে ৪/৫ মিনিট ভাঁজতে হবে। তারপর প্রয়োজন মত ফুটন্ত পানি আর লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
-পানি আর চাল এক সমান হয়ে এলে চুলার আঁচ কমিয়ে প্যানের নিচে তাওয়া দিয়ে দমে বসিয়ে দিতে হবে। সাথে কাঁচা মরিচ গুলো ফালি করে দিয়ে দিতে হবে। ঝাল কম চাইলে আস্ত কাঁচা মরিচ-ও ব্যাবহার করতে পারেন।
-অন্য একটি ফ্রাইং প্যানে বাকি সরিষার তেল গরম করে তাতে কালিজিরা, মেথি আর জিরা ফোঁড়ন দিয়ে কুচোনো পেঁয়াজ আর রশুন সোনালি করে ভেজে তেল সহ হালকা হাতে খিচুড়িতে মিশিয়ে দিতে হবে।
-চাল-ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে ইলিশ মাছ ভাজা বা গরুর মাংস ভুনা বা ডিম ভাজা দিয়ে। সাথে একটু খানি আম বা মরিচের আচার দিতে ভুলবেন না যেন।