লাইফস্টাইল

ঘরের কাজ ভাগ করে নিন এই লকডাউনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: একটি সংসারে অনেক কাজ থাকে। শুধু স্ত্রী ঘরের কাজ করবেন, সন্তানদের সামলাবেন আর স্বামী উপার্জন করে যাবেন, আধুনিক নাগরিক জীবনে এই ধারণা পুরনো হয়ে গেছে। এখন নারী-পুরুষ সমানভাবে কর্মক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই ঘরবাড়ির কাজও হাসিমুখে স্ত্রীর সাথে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এটা ছেলেদের কাজ ওটা মেয়েদের-এমন কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই।

করোনা মহামারিকালে সবাই কমবেশি সমস্যায় পড়েছেন। লকডাউনে কয়দিন পর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব। অনিশ্চিত সময়ে অফিস-বাড়ির কাজ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। কারো অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, কারো আবার সংক্রমণের অতি ঝুঁকির চিন্তা থেকে কাজের লোককে দিয়েছেন বাধ্যতামূলক ছুটি। কিন্তু করোনাকালে তো আর কাজ থেমে নেই। অফিস, বাড়ির কাজ, সংসার, বাচ্চা নিয়ে সবাই নাজেহাল। কারোর একার পক্ষে সব কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই বাড়ির সব সদস্যকে কাজে হাত মেলাতে হবে।

এখন ছেলেদের কাজ বা মেয়েদের কাজ বলে আলাদা কিছুই হয় না। রান্না করা, ঘর মোছা, বাসন পরিষ্কার, বাচ্চাদের খাওয়ানো, এই সব কাজ কিন্তু ছেলেরাও করতে পারেন। তাই অফিসের কাজ সামলে দুজনেই একে অপরকে সাহায্য করুন। কারোর একার ঘাড়ে সবটা চাপিয়ে দেবেন না। অযথা ঝগড়া করে অশান্তি সৃষ্টি না করে দায়িত্ব নিয়ে দু’জন মিলেই সামলান। কিভাবে কাজ ভাগ করে নেবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-কে কোন কাজ করবেন তা আগেই ঠিক করে নেবেন। যে যা কাজ করতে পছন্দ করেন সেটা আগে কথা বলে নিন। একই কাজের পিছনে দুইজন সময় নষ্ট করবেন না। একজন জামাকাপড় কাচলে অন্যজন থালা-বাসন মাজার দায়িত্ব নিন। রান্নাটা দুইজনে একসঙ্গে মিলেই সামলান।

নিজেদের কাজ সামলে দুজন দুজনের মতো করে সময় বের করে নিন। যেমন যার সকালের দিকে অফিস তিনি বিকালে আর রাতের দিকে বাড়ির কাজগুলো করে নেবেন। যার দুপুরে অফিস তিনি সকালের বাজার বা অন্যান্য টুকিটাকি কাজের দায়িত্ব নিন। আর দুপুরের খাওয়াটা একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

যে কাজ জানেন না সেটা শিখে নিন। সবাই যে সব কাজ জানেন এমন নয়। এতে লজ্জা পাওয়া বা অকারণে রাগারাগি করার কিছু নেই। বরং নিজের মতো করে কাজগুলো শিখে নিন। হয়তো কোনো কাজে স্ত্রী বা স্বামী পারদর্শী, সে কাজটা তার থেকে শিখে নিন। নতুন কোনো কাজ শিখলে দেখবেন নিজেরও ভালো লাগবে।

ঘরের কাজ ভালো না লাগালে বাইরের কাজগুলো করুন। যদি বাড়ির কাজে উৎসাহ না পান তাহলে বাজার, মুদি দোকানে যাওয়া, মিস্ত্রির খোঁজ এসব করতে পারেন। আমি এই কাজ পারব না, হুটহাট এমন কিছু বলে দেবেন না। বরং দুজনকেই সব কাজ ভাগ করতে হবে। কে কম করল, কে বেশি করল এসব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাবেন না। প্রতিদিন খাবারে একই মেন্যু দেখলে বিরক্ত না হয়ে বরং সপ্তাহের ছুটির দিনটাতে চেষ্টা করুন দুজন মিলে রান্না করতে। দেখবেন সংসার কতো সুন্দর ভাবে চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *