নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: করদাতাদের কষ্ট না দিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে। কর দেওয়ার নিয়মকানুন সহজ করে এবং আওতা সম্প্রসারণ করে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো যায়। শুক্রবার জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ পরামর্শ দেন।
রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জনগণ কর দিতে চায়, কিন্তু ভয় পায়। এই ভয় দূর করতে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নির্বিঘ্নে কর দেওয়া যায়। এ জন্য আইনকানুন, ফরম সহজ করতে হবে। তা হলে জনগণ কর দিতে এগিয়ে আসবে, রাজস্ব সংগ্রহও বাড়বে।
তিনি রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজহাঁসের যত খুশি পালক তোলো ক্ষতি নেই, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, হাঁস যাতে ব্যথা না পায়।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো দরকার। তিনি ঢাকায় আরও একটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট ও চট্টগ্রামে একটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট চালু করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ওই সব পণ্য আমদানিতে কর ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হয়রানি, দাবিনামা, নোটিশ জারি করে ভ্যাট আদায়ের কৌশল ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক নয়। তবে যারা ইচ্ছাকৃত ফাঁকি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এনবিআর বহুমুখী চাপে থাকে। সরকারকে রাজস্ব সরবরাহ, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর চাপ যেমন আছে, তেমনি সমাজে সমতা নিশ্চিত করার জন্য রাজস্ব ছাড়ের চাপও আছে। তিনি বলেন, অবশ্যই ছাড় দিতে হবে। তবে তা হতে হবে এমন ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা ৯ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। এ বছর সারাদেশে ৫২৫ জন ব্যবসায়ীকে সেরা ভ্যাটদাতা নির্বাচন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পণ্যমূল্যের সঙ্গে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান