মাংকিপক্স ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে যারা
পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় প্রকোপ থাকলেও মাংকিপক্স ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে যারা
তারা হচ্ছে বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, পুরুষদের মধ্যে যারা নিজেদের সমকামী বা উভকামী হিসেবে পরিচয় দেন, পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনতা যেখানে হয়, সেখানে এ রোগ বেশি ছড়ায়। ভাইরাসটির সঙ্গে অন্য কিছুর সম্পর্ক আছে কি না, তা বের করতে বর্তমানে জিনোম সিকোয়েন্সিং করছেন বিজ্ঞানীরা।
পর্তুগালে সমকামী পুরুষরা যৌন চিকিৎসা নেন এমন হাসপাতাল থেকে মাংকিপক্স ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল নিউজ।
ইউনিভার্সিটি অব সাস্কটচেওয়ানের ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ অর্গানাইজেশনের ভাইরোলজিস্ট এঞ্জেলা রাসমুসেন বলেন, ‘সমকামী পুরুষের গোত্রকে ঐতিহাসিকভাবে ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী করা হয়। এ কারণে আমি সমকামিতার সঙ্গে মাংকিপক্স ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির অণুজীব বিশেষজ্ঞ ড. সাফা বারকাটি বলেন, এটা (মাংকিপক্স) পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনতা হয় এমন সম্প্রদায়ে বেশি হয়ে থাকে।’
করোনা মহামারির মতো ব্যাপক হারে মাংকিপক্স ছড়াবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গুটিবসন্তের মতোই মাংকিপক্স। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাংকিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও অবসাদ। আবার ঝাঁকুনি দিয়ে ফুসকুড়ি ওঠার ঘটনাও ঘটে।
যদিও মাংকিপক্সের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে অধিকাংশ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এখন পর্যন্ত রোগটির দুটি প্রধান ধরন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কঙ্গো ধরন অনেক বেশি মারাত্মক। এতে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার ১০ শতাংশ। আর পশ্চিমা আফ্রিকা ধরনে মৃত্যুহার ১ শতাংশের কাছাকাছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এ ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। রোডেন্টজাতীয় প্রাণী ভাইরাসটির বড় আশ্রয়দাতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে যেভাবে ভাইরাসটিতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, তা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে। ১৮ মে পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকজন রোগী মাংকিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচয় থেকে শুরু করে কোনো সম্পর্ক ছিল না।