লক্ষ্মীপুজো মানেই ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন। কেউ বাজার থেকে ফল-মিষ্টি কিনে এনে কেউ আবার বাড়ির হেঁশেলেই ভোগ বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে ভালবাসেন। কী কী ভোগ রাঁধবেন ভেবেছেন কি?
রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মীপজো। ঠাকুরমশাইকে ডেকেই হোক কিংবা ঠাকুরের আসনে নিজেই পাঁচালী পড়ে— কমবেশি সব বাঙালি বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো হয়েই থাকে। পুজো মানেই ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন। কেউ বাজার থেকে ফল-মিষ্টি কিনে এনে কেউ আবার বাড়ির হেঁশেলেই ভোগ বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে ভালবাসেন।
সকাল থেকে পুজোর জোগান সেরে হেঁশেলে খুব বেশি সময় থাকতে ভাল লাগে না কারও। এ ক্ষেত্রে কী কী ভোগ বানিয়ে ফেলতে পারেন, রইল সেই হদিশ।
খিচুড়ি: লক্ষ্মীপুজো মানেই গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি ‘মাস্ট’! মুগডালের খিচুড়িতে সামান্য পরিমাণে ছোলার ডাল, কড়াইশুটি, ফুলকপি আর ঘি দিতে ভুলবেন না যেন! অনেকে আবার খিচুড়িতে আলু দিতেও পছন্দ করেন। ভোগ না দিলেও নিজেদের খাওয়ার জন্য কাল এই খিচুড়ি বানালে মন্দ হবে না।
লাবড়া: আজ রাতেই কাজ হালকা করে রাখার জন্য সব রকম সবজি ডুমো ডুমো করে কেটে রাখুন। কুমড়ো, বেগুন, ঝিঙ্গে, পটল, বাঁধকপি, ফুলকপি, মিষ্টি আলু, থোড়, কাঁচাকলা, বরবটি— যত ধরনের সবজি দিতে পারবেন স্বাদ ততই বাড়বে। সরষের তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে সব রকম সবজি ভাল করে ভেজে নিন। এ বার নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিন। সামান্য জল দিয়ে সবজিগুলো ভাল করে সেদ্ধ হয়ে এলে নারকেল কোড়া দিতে ভুলবেন না যেন। গ্যাস বন্ধ করে উপর থেকে একটি গন্ধরাজ লেবু ছড়িয়ে দিতে পারলে লাবড়ার স্বাদ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
সুজির হালুয়া: পুজোতে প্রতি বছরই পায়েস হয়, এ বছর স্বাদ বদলাতে সুজির হালুয়া বানিয়ে দেখতেই পারেন। শুকনো কড়াইতে পরিমাণ মতো সুজি নিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে অন্য একটি পাত্রে তুলে নিন। এ বার সেই পাত্রে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে মিনিট পনেরো ভিজিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে বেশ খানিকটা ঘিয়ে ভাল করে করে গলিয়ে নিন। বাদামি হয়ে এলে খানিকটা জল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এরপর দুধ দিন। তারপর ভিজিয়ে রাখা সুজি দিয়ে ভাল করে মিনিট পাঁচেক নাড়াচাড়া করুন। সমস্ত মিশ্রণটি মণ্ডের আকারে জড়ো হয়ে এলে ও মিশ্রণ থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে বুঝবেন হালুয়া তৈরি।
ডাবের পায়েস: একান্ত যদি পায়েস বানাতেই হয়, তাহলে চালের পায়েসের পরিবর্তে ডাবের পায়েস বানিয়ে ভোগ দিতে পারেন। একটি বড় ডাবের শাঁসটা বার করে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এর পর আগে থেকে জ্বাল দিয়ে রাখা দুধের মধ্যে গোলাপ জল, চিনি, কনডেন্সন্ড মিল্ক মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফুটে ঘন হয়ে এলে তাতে আগে থেকে মেখে রাখা ছানা দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। এর পর ডাবের শাঁস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পায়েস ঠান্ডা হয়ে এলে উপর থেকে পেস্তা, কাজু ছড়িয়ে দিন।
পালং লুচি আর আলুর দম: ঠাকুরকে অন্ন ভোগ দেন না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে সাধারণ লুচি না বানিয়ে পালং শাক বাটা দিয়ে ময়দা মেখে নিতে পারেন। তার সঙ্গে ভাজা মশলা দিয়ে আলুর দম দারুণ জমবে।