ধূমকেতু রিপোর্ট : বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঝিকরগাছায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন দিনে যশোরের গদখালী ফুলবাজারেই ১৭ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে।
চাহিদা বেশি থাকায় ফুলের দামও বেড়েছে। ফলে এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে গদখালীর আশপাশে রাস্তার দুই পাশে বসেছে ফুলের ভ্রাম্যমাণ হাট।
পানিসারা হাড়িয়া মোড়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারে ফুল কিনতে আসা ইব্রাহিম হাসান আসিফ ও তার সাত সহপাঠী জানায়, তারা জেলার মণিরামপুরের খাজুরা কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে ফুল কিনতে এসেছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তারা ছয় হাজার টাকার ফুল কিনেছে।
গদখালী ফুলবাজারে গত তিন দিনে গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি টাকার, গ্লাডিউলাস দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার, আড়াই কোটি টাকার রজনীগন্ধা এবং দেড় কোটি টাকার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে দাম কম পাওয়া সত্ত্বেও জারবেরা বিক্রি হয়েছে দেড় কোটি টাকার।
ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা আঁটি, যা গত সপ্তাহেও পাওয়া গেছে ১০ টাকায়।
নীলকণ্ঠনগর গ্রামের ফুল চাষি নুর হোসেন জানান, তিনি ছয় বিঘা জমিতে গ্লাডিউলাসের চাষ করেছেন। গত তিন দিনে ১১ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন।
হাড়িয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান জানান, গত তিন দিনে আড়াই লাখ টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি করেছেন। সৈয়দপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান গত তিন দিনে এক লাখ টাকার গাঁদা ফুল বিক্রি করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, গত দুই মাস ফুলের দাম ও চাহিদা না থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা পুষিয়েছে বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাওয়া ফুলের বাজার দরে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী এলাকার এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পাঁচটি ও পরীক্ষামূলকভাবে আরো ছয়-সাতটি জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুধু এলাকাতেই প্রায় ৬০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে।