সরাসরি রক্তের যোগ না থাকলেও পরিবারের মানুষের পর, বিপদের দিনে যদি সকলের আগে যে বা যারা পাশে থাকেন, তারাই বন্ধু। এ ক্ষেত্রে মনোবিদদের মত, বন্ধুত্ব করতে গেলে দুই তরফেরই সহযোগিতা দরকার। তবে নিজের দিক থেকেও ছোট ছোট কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি।
ব্যক্তিগত জীবনে যে বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি-
নিজের সমালোচনা করা বন্ধ করুন : নতুন কোনো মানুষের সঙ্গে প্রথমবার কথা বলতে অস্বস্তি হয় অনেকেরই। কারণ, তারা নিজেদের দোষ-গুণ নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। কখনও কখনও বন্ধু হিসেবে নিজেকে অযোগ্যও মনে করেন তারা। এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে।
নেতিবাচক চিন্তা নয় : নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বন্ধ করে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করুন। আপনার কথা বলতে সমস্যা হয়, এই ভয় মন থেকে তাড়িয়ে দিন।
সমাজমাধ্যমে পাওয়া বন্ধুদের বিশ্বাস করবেন না : বন্ধুত্বের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। তবে সমাজমাধ্যমে পাওয়া বন্ধুদের কতটা বিশ্বাস করা যায়, তা একমাত্র আপনিই বুঝতে পারবেন।
নিজের সমস্যা খুঁজে বের করুন : বন্ধুত্ব করার আগে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিজের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা। আপনি কেমন, তা নিয়ে বন্ধুমহলে আলোচনা হলেও তা যেন আপনাকে স্পর্শ করতে না পারে।
নিজেকে গুরুত্ব দিন : কে আপনাকে গুরুত্ব দিলো, আর কে দিলো না, সে বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজনই পড়বে না, যে দিন থেকে আপনি নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করবেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং আপনার ব্যক্তিত্বের আলোয় আলোকিত করে তুলুন চারিদিক।