ত্বকের যত্ন

ফর্সা, মসৃণ ও দ্যুতিময় ত্বক পেতে

জন্মগত কারণেই অনেকের ত্বক ফর্সা আবার অনেকের শ্যামলা,তবে নিজের স্বভাবের কারণেই অনেক সময় ফর্সা বা শ্যামলা যে কোন প্রকারের ত্বক হোক না কেন তা অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। আজ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার ত্বক উজ্জ্বল রাখতে পারবেন।[wp_ad_camp_2]

ফর্সা, মসৃণ ও দ্যুতিময় ত্বক পেতে

একঃ
বেসন, লেবুর রস ও কাঠবাদাম একসাথে পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ, কালোদাগ দুর করতে সহায়তা করে। কাজু বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

দুইঃ
কলা ও দুধ একত্রে পেস্ট করে মুখে ও ঘাড়ে ১৫ মিনিট রেখেদিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃন করতে কলার কোন জুড়ি নেই।

তিনঃ
মধুর ঔষধি গুনের কথা কে না জানে। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন করতেও মধু খুব কার্যকর। দই, মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতকিছু হাতের কাছে না থাকলে শুধু মধুই ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

চারঃ
আলু বা টমেটো শুধু ভাল সবজীই নয় বরং এক একটা রং ফর্সাকারী এজেন্ট। আলু এবং টমেটো পেস্ট প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনি পাবেন দ্যুতিময় ত্বক।

পাঁচঃ
মসুরের ডাল, দুধ লেবুর রস এবং চালের গুড়া একসাথে পেস্ট করলেই হয়ে যাবে সুন্দর ও কার্যকরী স্ক্রাব। সপ্তাহে তিন দিন ব্যাবহার করুন। আপনার ত্বক হবে আরো পরিষ্কার।

ছয়ঃ
ডিমের সাদা অংশ ও মধু একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখুন। তার পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান ভাব আনতে সাহায্য করবে এই ফরমুলা।

সাতঃ
এক চামচ চিনির সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে আলতো ভাবে মুখে ডলতে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত চিনি পুরোপুরি গলে না যায়। এমনকি পুরো শরীরেও লাগাতে পারেন।

আটঃ
শিশুদের মত কোমল ও মসৃন ত্বক পেতে দুই চামচ চিনির মধ্যে তিন চামচ বেবী ওয়েল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

নয়ঃ
মুখে ব্রনের দাগ থাকলে কর্ণফ্লাওয়ার এবং শসার মিশ্রন তৈরী করে প্রতিদিন মাখতে থাকুন। দ্রুত ভাল ফল পাবেন।

দশঃ
পানি, সবুজ সবজী, ফলের রস, মাছ, ডিম রক্ত পরিষ্কার করে থাকে তাই এইগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে খেতে হবে।

গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ

দিনের বেলায় বাইরে যাবার আগে সানস্ক্রীন (SPF-30) না লাগালে উপরে বর্নিত সবগুলো উপায়ই ব্যর্থ হতে পারে। এমনকি বাসায় ও সানস্ক্রীন (SPF-15) ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে যারা রান্নবান্না করে থাকেন।

[wp_ad_camp_1][wp_ad_camp_3]