নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের টাকায় সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৪ জন হৃদরোগ আক্রান্ত ব্যক্তির হার্টে রিং বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুই জন রোগীর হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে।
করিমন বিবি, সাদেকুর, জালালের মতো ৪০ বছর বয়সী আহমেদ হোসেইন, ৪৩ বছরের মো. হেলাল উদ্দীনের মুখে এখন শান্তির হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। তারা এখন সবাই সুস্থ।
সাদেকুর বলেন, ‘সরকারের এ সহযোগিতা গরীবদের জন্য অনেক ভালো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আমি দোয়া করি। উনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।‘
তিনি জানান, এ চিকিৎসায় অন্যান্য হাসপাতালে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হতো। অথচ এক টাকাও লাগেনি। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি উনার জন্য দোয়া করবো।’
করিমন বিবির ছেলে নুর হোসেন বলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে আমার মায়ের চিকিৎসা করানোর সামর্থ ছিলো না। আমার মাকে নিয়ে এক বছর ধরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতেছিলাম। অনেকবার আমি আমার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমার মায়ের শরীরে পেসমেকার বাসানো হয়েছে। আমরা অনেক আনন্দিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হৃদরোগে আক্রান্ত অসহায় ও গরিব রোগীদের বিনামূল্যে হার্টের ভাল্ব, রিং ও পেসমেকার কিনতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে আর্থিক অনুদান দেন। এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এককালীন ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।
বিনামূল্যে গরিব রোগীদের শরীরে ভাল্ব, রিং ও পেসমেকার বাসনোর বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গরীব অসহায় রোগীদের জন্য পেসমেকার, হার্টের রিং ও ভাল্ব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের টাকায় ১৫০টি পেসমেকার, ১৫০টি হার্ট রিং ও ১৫০ টি ভাল্ব কিনতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিশেষ এই অনুদানের এই টাকায় গতকাল প্রথমবারের মতো ৪ জন রোগীর শরীরে হার্টের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের শরীরে বিনামূল্যে রিং বসানো হয়েছে। দুই দিনে আমরা ছয় জনের শরীরে এনজিও গ্রাম বা হার্ট রিং বসিয়ে দিয়েছি। এছাড়া আরও দুইজনের শরীরে পেসমেকার ও তিন জনের শরীরে ভাল্ব স্থাপন করা হয়েছে। বিনামূল্যে গরীব রোগীদের এমন চিকিৎসা চলমান থাকবে।’
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশি রোগীর সফল রোবটিক ক্যান্সার সার্জারি করল এইচসিজি ক্যান্সার হাসপাতাল