অফিস হোক বা বাড়ি, চিন্তা, দুশ্চিন্তা সবসময়ের সঙ্গী। দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেই শুরু হয় উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা। আবার অনেকেই প্রতিদিনের টেনশন নিয়ে বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলেন। ভোগেন স্ট্রেসের সমস্যায়। যা শরীরে নানা রকম ক্ষতি ডেকে আনে অজান্তেই। তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে যেন তেন প্রকারেণ উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা থেকে বের হতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা।
জেনে নিন স্ট্রেস থেকে মুক্তিতে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে –
উৎকণ্ঠা দূরে পালাবে- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পাতার অ্যান্টিঅ্যাংজাইটি এফেক্ট রয়েছে। এমনকী এই পাতার গুণে মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, নিউরোনইফ্লামেশনের মতো সমস্যাকেও অনায়াসে নিজের আয়ত্বে রাখা সম্ভব হবে। তাইতো স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির ফাঁদ কাটাতে নিয়মিত এই পাতা সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যেভাবে খাবেন- প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি থানকুনি পাতা পানি দিয়ে গিলে নিন। কিংবা এই পাতার রস করেও সেবন করতে পারেন। তাতেই মিলবে অনেক উপকার।
প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট’- নিয়মিত মন ‘ভালো’ না থাকার সমস্যাকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় অবসাদ নামে ডাকা হয়। এই রোগকে প্রথমেই নিয়ন্ত্রণে না আনলে একাকিত্ব, কাজে অনীহা, অনিদ্রা থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দেয়। তাই প্রথম দিন থেকেই এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নেমে পড়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা।
অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা সমাধানে- বয়স বাড়লে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, এটাই জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম। তবে কোনও কারণে স্মৃতিশক্তি একবারেই অনেকটা কমে গেলে সতর্ক হতে হবে অবশ্যই। কারণ এমন সমস্যার পিছনে কলকাঠি নাড়তে পারে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ। তবে ভালো খবর হলো, নিয়মিত থানকুনি পাতা সেবন করলে মস্তিষ্কের নার্ভের ফাংশন এবং মেমোরি ফাংশন বাড়ে। আর সেই সুবাদেই অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। তাই স্মৃতিকে দীর্ঘ সময় মনে রাখতে প্রায়দিন এই পাতা সেবন করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।