তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কী করবেন

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কী করবেন

অনেকের আছে সারা বছর ত্বক স্বাভাবিক থাকলেও গরমে তেলতেলে ভাব বেড়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকে ধুলাময়লা আটকায় বেশি, ব্রণের প্রকোপও বেশি দেখা যায় তাই। এই ধরনের ত্বকের কিছু বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এছাড়া যেগুলো করলে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলাও জরুরি। জেনে নিন টিপস।

  • তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন বেসন ও হলুদ। বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে শুষে নেয়। আর হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ বেসনের সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে দিন। এতে গোলাপজল বা টক দই মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
  • কাঁচা দুধ ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়। পাশাপাশি উজ্জ্বল ও কোমল করে ত্বক। দুধে তুলা ভিজিয়ে চেপে চেপে লাগান ত্বকে। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। স্ক্রাবটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১টি শসা, ১ টেবিল চামচ ওটমিল ও ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল। প্রথমে শসা পেস্ট করুন। ওটমিল ও শসা একসঙ্গে মেশান। অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিন মিশ্রণে। পেস্টটি ধীরে ধীরে ঘষুন ত্বকে। ১০ মিনিট ঘষে আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন ত্বক।
  • ১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • আধা চা চামচ বেকিং সোডা ও ১ টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • মুলতানি মাটি, লেবু, কমলার খোসা, শসা, টক দই ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন ফেসপ্যাক হিসেবে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার রাখতেও কার্যকর।
  • ঠান্ডা ভিনেগার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। পানি ও ভিনেগারের মিশ্রণ ঠাণ্ডা করে তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগান। বরফ তৈরি করেও ত্বকে ঘষতে পারেন।

জেনে নিন

  • যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ঘনঘন মুখ ধুতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এটি কিন্তু উল্টো আপনার ত্বকের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বারবার ফেস ওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বকের ন্যাচরাল অয়েল হারিয়ে যায়। ফলে ত্বক প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ফেস ওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার কমিয়ে ব্লটিং পেপার বা ফেস মিস্ট ব্যবহার করুন।
  • গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অপসারণ করে, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। এতে ত্বক আরও বেশি পরিমাণে তেল উৎপাদন করে। তাই সবসময় ঠান্ডা পানির ঝাপটায় ধোবেন ত্বক।
  • ত্বকের যত্নে টোনার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এটি ব্যবহার না করলে ত্বকের তেলতেলে ভাবের রাশ টেনে ধরা ভীষণ কঠিন। ভালো মানের টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে। তবে অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করা ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *