খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠান বা মিটিং, সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখে ব্রণ দেখতে পান তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও কমে আসে। অনেকেই মুখে ব্রণের লালচে ফোলাভাবের কারণে মন খারাপ করে বসে থাকেন, কারণ কিছুই করার নেই। অনেকে আবার ব্রণটি গলিয়ে ফেলে ভাবেন লালচে ভাব কমে গিয়েছে। কিন্তু এতে হয় উল্টোটা। লালচে ভাবতো বাড়েই সেই সাথে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই এইসব কিছু না করে আগের দিন রাতে করুন কিছু কাজ। দেখবেন মাত্র ১ রাতের মধ্যেই ব্রণের লালচে ফোলাভাব একেবারে কমে গিয়েছে। ইচ্ছে হলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই সমাধানগুলো। আর সকালে উঠে দেখুন জাদু।
১) বরফ এবং মধু ও দারুচিনির পেস্টের ব্যবহার
মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর ১ টুকরো বরফ নিয়ে ব্রণের উপর আলতো করে গোল গোল করে ঘুরিয়ে নিন। ২ মিনিট ঘষার পর একটি টিস্যু দিয়ে আলতো ভাবে ভালো করে মুছে নিন। এরপর মধু ও দারুচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর আঙুলের ডগায় নিয়ে তা ব্রণের উপরে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এভাবে ঘুমুতে চলে যান। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করবে। সকালে উঠে দেখুন ব্রণের লালচে ফোলাভাব কমে গিয়েছে একেবারেই।[wp_ad_camp_2]
২) টুথপেস্টের ব্যবহার
মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর মিন্ট ফ্লেভারের টুথপেস্ট ঠিক ব্রণের উপরে লাগাবেন। এভাবে সারারাত লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে দেখুন জাদু। ব্রণের লালচে ফোলাভাব কমে যাবে।
৩) অ্যাসপিরিনের ব্যবহার
বাজারে যেসকল সাধারণ ননজেলিক কোট ব্যতীত অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট পাওয়া যায় তা কিনুন। অর্ধেকটা ট্যাবলেট ভেঙে গুঁড়ো করে নিন। খুব সামান্য (২/১ ফোঁটা) পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা ঠিক ব্রণের উপরে লাগিয়ে নিন। একটি অ্যাডহেসিভ ব্যান্ডেজ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণের লালচে ফোলাভাব একেবারেই নেই।
সতর্কতাঃ
* ব্রণ ফেটে গেলে তার উপর ব্যবহার করতে যাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
* টুথপেস্ট ও অ্যাসপিরিনের পেস্ট ব্যবহারের সতর্ক থাকুন। পেস্ট যেনো শুধু ব্রণের উপরেই পড়ে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
আমাদের পেজে লাইক দিতে ভুলবেন না।