অনেক ভাবেই কই মাছ রান্না করা যায়। তবে কই মাছের পাতুরি বোধহয় সবচেয়ে মজাদার। আসুন এই অনন্য স্বাদের তরকারির রেসিপি জেনে নিই।
উপকরণ
কই মাছ ৩টি
লাউপাতা ৬টি (বড়, মাছ প্রতি ২টি করে)
পেঁয়াজ দেড়টা (মাছের আকৃতির উপরে পেঁয়াজের পরিমাণ নির্ভর করবে)
কালোসরিষা আধা চা-চামচ
রসুন ২ কোয়া
হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ
মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ
কাঁচামরিচ ৭ থেকে ৮টি
লবণ স্বাদমতো
সরিষার তেল আধা কাপ।
পদ্ধতি
লাউয়ের বড় আকারের তুলনামূলক কচিপাতা আঁশ ফেলে ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। মাছের দুইপিঠ চিরে রাখতে হবে যাতে মসলা ঠিকমতো ঢোকে। পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, হলুদ ও মরিচগুঁড়া আর চারটি কাঁচামরিচ একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। তারপর তাতে মেশাতে হবে লবণ আর খানিকটা সরিষার তেল।
মাখানো মসলার মধ্যে কই মাছগুলো দিয়ে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এবার ২টি করে লাউপাতা বিছিয়ে তাতে মসলায় মাখা কই মাছ সঙ্গে দুটি কাঁচামরিচ দিয়ে চারপাশ থেকে লাউপাতা এমনভাবে পেঁচিয়ে নিতে হবে যাতে প্যাকেটের মতো দেখতে হয়। সুতা পেঁচিয়ে বেঁধে নিতে হবে যাতে পাতা খুলে মসলা বা মাছ বের না হয়ে আসে।
এভাবে সবগুলো কই মাছ পাতায় পেঁচিয়ে নিন। যদি শাকভর্তার পরিমাণ একটু বেশি চান তবে মাছ প্রতি ২টি পাতার পরিবর্তে ৩টি করে লাউপাতা দিতে পারেন। প্যানে তিন থেকে চার চা-চামচের মতো সরিষার তেল দিয়ে লাউ পাতায় মোড়া কই মাছগুলো সুন্দর করে পাশাপাশি বিছিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে মধ্যম আঁচে বসিয়ে দিতে হবে।
সাত থেকে আট মিনিট পর সাবধানে উলটে দিন। এভাবে আরও বেশ কয়েক বার উল্টেপাল্টে দিতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর নামিয়ে ফেলতে হবে। খুব সাবধানে সুতা খুলে পাতার প্যাকেট থেকে মাছগুলো মসলাসহ একটা প্লেটে তুলে লাউপাতাগুলো সিদ্ধ কাঁচামরিচসহ পাটা বা মিক্সিতে বেটে নিন। তারপর মাছ আর শাকভর্তার ওপরে অল্প করে একটু সরিষার তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন কই পাতুরি।
চাইলে লাউপাতায় মোড়ানো অবস্থাতেও এই কইপাতুড়ি পরিবেশন করতে পারেন।