আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ চলাকালীন হঠাৎই বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ যায় অন্তত ৫০ জনের। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বখতার নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় ৪৬ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আফগানিস্তানের দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো।
কুন্দুজের এক বাসিন্দা জানান, নামাজ পড়ার সময়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক হাসপাতালের কর্মী জানান, আমরা ১৫টি মরদেহ পেয়েছি এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ৯০জনকে। তবে এ সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।
ভয়াবহ এ হামলার ঘটনার পর দেশটির তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইট বার্তায় ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। কোনো কোনো হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সুন্নি মুসলিম যোদ্ধা বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
অনেকটা রক্তপাতহীনভাবে গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয়। এরপর টানা এক মাস অরাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশটিতে। ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কাজ সমাপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এর মাঝেই গুলিতে, বিস্ফোরণে দেশটিতে তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়েন বহু আফগান নাগরিক। তালেবান নতুন সরকার গঠনের এক মাসের মাথায় আবারও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স
- ছোট্ট আফগান বালিকার ময়না পাখি এখন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের কাছে
- দোহায় বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের শীর্ষ নেতারা