নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কালের পরিক্রমায় একেবারে শেষপ্রান্তে ২০২১। মাত্র একদিন বাদেই নতুন খ্রিষ্টাব্দ বরণ করা হবে বিশ্বব্যাপী। হালের সংস্কৃতিতে পুরনো বছরকে বিদায় জানানো শেষে নতুনের বরণে মেতে ওঠার অন্যতম উপলক্ষ্য হয়ে আসে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন। মহামারি করোনায় সেই উদযাপনেও ভাটা গেল দু’বছর ধরে।
পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণ ছড়াচ্ছে নতুন শঙ্কা। আর সেজন্যই এবারেও ঘটা করে বর্ষবরণ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা জানাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। হোটেলগুলোর আয়োজনে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় তেমন অনুষ্ঠানেরই অনুমতি দেওয়া হবে। নাশকতা এড়াতে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই মহানগরীর মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকির তল্লাশি জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। উৎসবকেন্দ্রিক এলাকাগুলোর প্রবেশমুখেই বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট।
মহামারির পাল্টে যাওয়া বাস্তবতায় নগরবাসীও নিরাপত্তার এই উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
কেমন হবে বর্ষবরণের সময় বাইরের পরিস্থিতি? সেসবের বিস্তারিত তুলে ধরতে বিকেলে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ করেন মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা। জানান, খোলা জায়গায় কোনো জমায়েত হতে দেবেন না তারা। অনুরোধ ছিল পটকা-আতশবাজির আয়োজন না করার।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে এমন আয়োজন করতে পারবে। কোনো ডিজে পার্টি করতে পারবে না। এছাড়া কোনো উন্মুক্ত স্থানেও কোনো আয়োজন করা যাবে না।
নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি নেই তবুও বাড়তি নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী সুরক্ষিত রাখা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরো পড়ুন: