স্বাস্থ্য

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্নদের সমস্যা হয়েছে বেশি: গবেষণা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: যারা করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন টিকা নেওয়ার পর দেখা গেছে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে কেন কিছু মানুষ টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ বোধ করে। গবেষকরা বলছেন, গবেষণার এই ফাইন্ডিংস যারা টিকা নিতে দ্বিধায় ছিলেন তাদের টিকা নিতে আশ্বস্ত করবে। গবেষণাটি চলতি মাসে সাইকোথেরাপি এবং সাইকোসোম্যাটিকস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। খবর ইউপিআইয়ের।

পূর্বে গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে সফলতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মানুষের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করতে পারে। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার বিষয়ে এই প্রথম কোনো যোগসূত্র পাওয়া গেলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই গবেষণায় অংশ নেন। দেশটির সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন টিকা নেওয়ার আগে তাদের কাছে জানতে চায়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে তাদের প্রত্যাশা কি এবং টিকা নেওয়া মানুষের বলা সাতটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন, সুঁই দেওয়ার স্থানে ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অবসাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়।

অংশগ্রহণকারীরা সামাজিক জনতাত্ত্বিক বিষয়েও তথ্য দেয়। ওইসব তথ্য মূল্যায়ন করে তাদের মধ্যে অবসাদের উপসর্গ দেখা যায় এবং মহামাহীর ব্যাপারে তাদের স্বাভাবিক উদ্বিগ্নতাও লক্ষ্য করা গেছে।

তিন মাস পর করোনার পুরো ডোজ নেওয়া হলে গবেষকরা আবারও ওই মানুষজনের খোঁজ নেয় এবং কোন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সেই ব্যাপারে জানতে চায়।

গবেষণাপত্রের সহকারী লেখক কেলি ক্লেমেন্স বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে তারা যা প্রত্যাশা করেছিল এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার যে অভিজ্ঞতা পেয়েছে-এই দুইয়ের মধ্যে আমরা পরিষ্কার যোগসূত্র পেয়েছি। মনস্তাত্ত্বিক কারণেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে যা ভেবেছিলেন তার অভিজ্ঞতা তারা পেয়েছেন এবং অন্যান্য কারণ যেগুলো আগে থেকেই ভেবেছিলেন তাও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রভাব ফেলেছে।  বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির টিকা যা আগে কেউ নিয়েছিল এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছিল।  কেলি ওহিওর ইউনিভার্সিটি অব তোলেদোতে এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজিতে পিএইচডি করছেন।

ইউনিভার্সিটি অব তোলেদোর সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষণাটির নেতৃত্ব দেওয়া অ্যান্ড্রিউ গিয়ারস বলেন, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এটা দেখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের মানসিক অবস্থা ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ায় যোগসূত্র আছে কিনা। আমাদের গবেষণায় এটা পরিষ্কার দেখা গেছে, যারা টিকার কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর প্রত্যাশা করেছিল তাদের ক্ষেত্রে সেগুলো খুব সক্রিয় ছিল। যারা প্রত্যাশা করেনি তাদের ক্ষেত্রে তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।

তিনি বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে যদি আমরা ভিন্নভাবে ভাবি এবং নতুন চিন্তা করি। তাহলে তা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তীব্রতাও কমাবে।

আরো পড়ুন:

শনিবার বাজারে আসছে করোনার ওষুধ ‘মলভির’, দাম ৫০ টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *