ক্যান্সারকে বিটের রস প্রতিরোধ করে থাকে? এমনকি ইউরোপে বিভিন্ন দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিট ব্যবহার করা করে। ১৯২০ সালে দুই জন জার্মান চিকিৎসক Farberse এবং Schoenenberger ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রথম বিট ব্যবহার করে। যেমনঃ বিট, আপেল এবং গাজর দিয়ে তৈরি করা হয় মিরাকেল জুস। এটা ফুসফুস ক্যান্সারসহ অনেকগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। চীনারা অনেক বছর আগে ক্যান্সার চিকিৎসায় এই জুসটি ব্যবহার করত। এই জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণের কারণে বর্তমান সময় বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই জাদুকরী পানীয়টি তৈরির করার পদ্ধতি।

যা যা লাগবে:

একটি মাঝারি আকৃতির লাল আপেল

একটি মাঝারি আকৃতির বিট

একটি মাঝারি আকৃতির গাজর

একটি টেবিল চামচ লেবুর রস বা মধু (স্বাদের জন্য)

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ১ম ই আপেল, গাজর এবং বিট ভাল করে ধুয়ে কাটুন।

২। সবগুলো উপাদান ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

৩। প্রয়োজন অনুযায়ে পানি মেশান।

৪। এবার গ্লাসে ঢেলে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

কখন খাবেন:

সকালের নাস্তা খওয়ার আগে এটি পান করুন। এক ঘন্টা পর সকালের নাস্তা করুন। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি উচ্চ পুষ্টি সম্পন্ন এবং সহজে হজমযোগ্য জুস। এটা আপনার ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করবে।২ সপ্তাহের মধ্যে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দিবে।

কার্যকারিতা:

অনেক ভাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নিয়ে গঠিত বিট, গাজর এবং আপেল। আপেলে আছে ভিটামিন , বি১, বি২, বি৬, সি ই, কে, নিয়াসিন, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়ামসহ আরোও অনেক ভিটামিন এবং মিনারেল। গাজরে আছে ভিটামিন , বি১, বি৩, বি৬, সি,ই এবং কে, নিয়াসিন, প্যানথ্রোনিক অ্যাসিড এবং বিটা ক্যারটিন আছে। এই উপাদানগুলো ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধ করে থাকে, ফুসফুস, হার্ট এবং লিভারকে সুস্থ করে। প্রতিদিন এই জুস পানে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।

https://youtu.be/8KdBrqQCx8w

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *