এসি ব্যবহারে সচেতন হোন।

দেশে এখন প্রচণ্ড গরম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) দিকে ঝুঁকছেন। আর এই গরমে এসির নানা রকমের চমকপ্রদ অফারেও ছুটছেন সেদিকেও।

তবে এসি ব্যবহার করলেও নানা গাফিলতির কারণে বাড়ছে এসির বিস্ফোরণ। যাতে মারাও যাচ্ছে অনেক। তাই এসির ব্যবহার বাড়লেও ব্যবহারে হতে হবে সতর্ক।

আসুন জেনে নেই এসি বিস্ফোরণের কারণ ও কি করলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

বিস্ফোরণের কারণ:
১. এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে।
২. এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৩. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।
৪. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৫. কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।
৬. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।
৭. কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।
৮. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:
১. ভালোমানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার কেবল ব্যবহার করা।
২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
৩. কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার পরীক্ষা করা।
৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।
৫. কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করা।
৬. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা।
৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।
৮. কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।
৯. বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।
১০. নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
১১. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।”

ব/প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *