ধূমকেতু রিপোর্ট : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে। পরীক্ষা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এছাড়াও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘এবারের পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।’

দীপু মনি বলেন, ‘২০১৮ সালের তুলনায় এবছর এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।’

এবার আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষাথীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনাল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোটে কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২ টি। এছাড়াও বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন্য পরীক্ষাথী রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্যরা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারী বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হবে।

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করে দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে কান দেবেন না।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নজরদারি থাকবে মনিটরিং কমিটির। পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব সময় ধরনের সহযোগীতা কমনা করেন তিনি।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০ থেকে ১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও পরীক্ষার ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্নে পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইলফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ সময়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *