পর্যটন ও পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নিরসনে দরকার বিশ্বনেতৃবৃন্দের কার্যকর ভূমিকা

নিখিল মানখিন, ধূমকেতু বাংলা: জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ঝুঁকি নিরসনে বিশ্বনেতৃবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ ও সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শিল্প বিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল তার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। তা না পারলে বিপজ্জনক হয়ে পড়বে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবন।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামীকাল সোমবার (১ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে জলবায়ু বিষয়ক ২৬তম শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬। ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক প্যারিস সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় গ্লাসগো শহরে জড়ো হবেন বিশ্বনেতারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারিসে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব দেশই কার্যত জলবায়ু ইস্যুতে একমত হয়েছিল। সবাই একযোগে কাজ করার ঘোষণাও এসেছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি শিল্পায়ন-পূর্ব সময়ের ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা হবে। সম্ভব হলে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হবে বলেও প্রতিশ্রুতিবন্ধ হয়েছিলেন নেতৃবৃন্দ।

কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় ১২ বছরের মধ্যেই উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে; শতাব্দীর শেষে তা উঠবে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা জোরদারের ঘোষণা আসতে পারে। শুধু তাই নয়, এবারের সম্মেলনে ধরিত্রী রক্ষায় ধনী দেশগুলোর করণীয় কী তা প্রকাশ পাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০টির মতো দেশ কার্বন নিঃসরণ কতটা কমাবে, সেই পরিকল্পনা সেখানে তুলে ধরার কথা রয়েছে। সে কারণে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর ওপর।

বিগত কয়েক বছরে মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যয় ঠেকাতে বারবার জরুরি ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরবে। সংস্থাটির আগের প্রতিবেদনে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করে বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি চলতি বছরে অনেক বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অতিরিক্ত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহ, বন্যা ও দাবানলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬’ ও অন্য কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আরও তহবিলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অর্থনীতিকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে আগামী দশকে ছয় ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সিভিএফের অধিকাংশ দেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত, নিম্ন বা অগ্রগণ্য মধ্যম-আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তায় তাদের তহবিল ও বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের সিইও প্যাট্রিক ভারকইজেনের যৌথভাবে লেখা একটি প্রবন্ধ ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করেছে। ‘জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে বাঁচতে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জন্য আরো অর্থের যোগান দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক তাদের এ যৌথ প্রবন্ধে উন্নয়শীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে বাঁচাতে বার্ষিক তহবিলে উন্নত দেশগুলোর একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

তারা লিখেছেন, ‘আমাদের জলবায়ু সঙ্কট হচ্ছে বৈশ্বিক। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমভাবে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চারটি মহাদেশের ৪৮টি দেশের একটি গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে একেবারে অস্তিত্বের হুমকি। আর এটি অতিশয়োক্তি না।’ এমনটি বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বক্তব্যে।

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বর্তমান সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। কাজেই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বিদেশি সাহায্য না আসলে, আমরা নিজস্ব অর্থেও তা মোকাবেলা করতে পারব বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিকসমূহ:

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর এই পরিবর্তনে বদলে যাবে আমাদের জীবনযাপন। পানির সঙ্কট তৈরি হবে। খাদ্য উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়বে।  কোনো কোনো অঞ্চল বিপজ্জনক মাত্রায় গরম হয়ে পড়বে, এবং সেই সাথে সমুদ্রের পানি বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হবে। ফলে সে সব জায়গা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। অতিরিক্ত গরমের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ের প্রকোপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকবে। ফলে জীবন এবং জীবিকা হুমকিতে পড়বে। গরীব দেশগুলোতে এসব বিপদ মোকাবেলার সক্ষমতা কম বলে তাদের ওপর এই চরম আবহাওয়ার ধাক্কা পড়বে সবচেয়ে বেশি।

তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া সাইবেরিয়ার মত অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, মিথেনের মত আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে, এবং বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে।

তাদের চির চেনা বসতির আবহাওয়া বদলের জেরে অনেক প্রাণী নতুন জায়গায় চলে যাবে বা যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু জলবায়ুর এই পরিবর্তন এত দ্রুত হারে এখন ঘটছে যে অনেক প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যেমন, বরফ গলতে থাকায় পোলার বিয়ার বা উত্তর মেরুর শ্বেত ভালুকের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি, আটলান্টিক মহাসাগরের স্যামন মাছ বিপন্ন হবে, কারণ যেসব নদীতে ঢুকে তারা ডিম পেড়ে বাচ্চার জন্ম দেয়, সেগুলোর পানি গরম হয়ে যাচ্ছে।  ট্রপিক্যাল অঞ্চলের কোরাল রিফ বা প্রবাল-প্রাচীর উধাও হয়ে যেতে পারে, কারণ বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড সাগরের পানিতে মিশে পানির অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণসমূহ:

বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ুতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন হয়। কিন্তু যে মাত্রায় এখন তাপমাত্রা বাড়ছে তার মানুষের কর্মকাণ্ডেই প্রধানত দায়ী।  মানুষ যখন থেকে কল-কারখানা এবং যানবাহন চালাতে বা শীতে ঘর গরম রাখতে তেল, গ্যাস এবং কয়লা পোড়াতে শুরু করলো সেই সময়ের তুলনায় পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।  বায়ুমণ্ডলে অন্যতম একটি গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ উনবিংশ শতকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত দুই দশকে বেড়েছে ১২ শতাংশ।  বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেও বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। গাছপালা কার্বন ধরে রাখে। ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয়, সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হয়।

ভবিষ্যৎ পরিণতি :  

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্প বিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল তার থেকে বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরণের বিপদ এড়ানো যাবে। তা না পারলে বিপজ্জনক হয়ে পড়বে প্রকৃতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবন।  অনেক বিজ্ঞানীর আশঙ্কা যে ভয়ঙ্কর এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায় নেই এবং চলতি শতকের শেষে গিয়ে বিশ্বের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তা হলে এর প্রভাব বিশ্বের একেক জায়গায় একেক রকম হবে।নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের অসহনীয় পীড়নের পাশাপাশি মানুষের বাসযোগ্যতা দ্রুতহারে হ্রাস পাবে।

জলবায়ু পরিবর্তন এককভাবে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমিক:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন এককভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ হুমকি মোকাবিলায় দেশগুলোর সরকার ও নীতিনির্ধারকদের জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। ফলে প্রতিবছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ-২৬ সামনে রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর সিএনএন ও গার্ডিয়ানের।

ডব্লিউএইচওর ‘স্পেশাল রিপোর্ট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতের চার শতাধিক বৈশ্বিক সংগঠন ও বিশেষজ্ঞ কপ-২৬-এ অংশ নিতে যাওয়া সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি আমাদের হত্যা করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন জনস্বাস্থ্যের ওপর এককভাবে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। হুমকি মোকাবিলায় জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে।  জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ ও চরম বৈরী আবহাওয়ার কারণে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে। এ কারণে স্বাস্থ্য খাতে বাড়তি ব্যয়ের লাগাম টানতে নীতিনির্ধারকদের এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পানি ও বায়ু পরিষ্কার রাখা ও খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখতে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তহবিল গঠনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *