চুলের যত্ন

কেমন হবে শীতকালের চুলের যত্ন | Kemon Hobe Shitkaler Chuler Jotno

কেমন হবে শীতকালের চুলের যত্ন

Kemon Hobe Shitkaler Chuler Jotno

চুলের যত্নে –

শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এং আগা ফেটে যায় তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করেন নিন। চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যান। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।

চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন পর পর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে ভালো। শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ভালো কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।

শীত বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। তাই খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পারলে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।

ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভালো। ২ দিন পর পর যেকোন তেলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভালো হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে কখনো চুল ধুবেন না।

শীতকালে চুলের ও ত্বকের যত্নে  খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া দরকার। শিম, নানারকম শাক, বরবটি, ফুলকপি, মটরশুঁটি, ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। সব ফলই প্রতিদিন খাবেন। যেমন-আপেল, আমলকী কিংবা আমড়া সে যা-ই হোক না কেন।
এইসহজ কিছু পদ্ধতিগুলো শীতে অনুসরন করলেই ত্বক এবং উজ্জ্বল চুল মসৃন রাখা যায়।