বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ তিনি। ইমরান হাসমি। ‘আজহার’ সিনেমার শ্যুট চলার সময় নার্গিস ফকরির সঙ্গে চুমু খাওয়ার দৃশ্য। নার্গিসকে চুম্বনরত ইমরান পরিচালক কাট বলার পরও থামেননি। ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার পরও চুমু খেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই অতীতের ঘটনার উল্লেখ করে মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নার্গিস।
অভিনেত্রীর কথায়, “আমাদের ছবি ‘আজহার’ এর পোস্টারের কথা ভাবুন। মনে পড়বে নিশ্চয় ইমরানের নকল গোঁফ ছিল। ওই নকল গোঁফ যে অন্য কারও গোপনাঙ্গের চুল নয়, সে বিষয়ে আমি তো নিশ্চিত ছিলাম না! আমি কিছুতেই তাই ইমরানকে চুমু খেতে পারছিলাম না। আর জানি না কেন শ্যুটিং-এ ইমরান আমায় একের পর এক চুমু খেয়ে যাচ্ছিল। আমার সে দিন খুব অস্বস্তি হয়েছিল।“
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে তৈরি এই জীবনীচিত্রে সঙ্গীতা বিজলানির চরিত্রে দেখা যায় নার্গিসকে। ছবিতে বেশ কয়েকটি চুমু খাওয়ার দৃশ্য ছিল।
২০০৩ সালে ‘ফুটপাথ’ ছবির হাত ধরেই বলিউডে নিজের সফর শুরু করেন ইমরান। তার পর ২০০৪ সালে ‘মার্ডার’ ছবি তাঁকে পরিচিতি দেয়।
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ইমরানকে।
মল্লিকা শেরাওয়াত, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, তনুশ্রী দত্ত, নার্গিস ফকরি-সহ বহু নামী নায়িকাকে পর্দায় চুম্বন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আগের একটি সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, তিনি জানতেনই না যে এই ছবিতে এক-দু’বার নয়, পাঁচ বার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে হবে ইমরানের সঙ্গে।
নার্গিস বলেন, “পাঁচ বার চুমু খাওয়ার কথা ছবির চুক্তিপত্রে ছিল না। আমি তো ভেবেছিলাম বাড়তি টাকা নেব পাঁচটা চুমুর জন্যে।
আমি জানতাম, ইমরান মনে মনে খুব খুশি হয়েছে। যদিও মুখে বলেছে, ও কিছুই জানত না। আমি জানতাম ও মিথ্যে বলছে।”
কার্টেসিঃ আনন্দ বাজার