নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দেশে প্রথমবারের মতো ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ‘এমআইসিএস’ পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন করেছেন একদল তরুণ চিকিৎসক। গত ২৫ মে হাসিনা বেগম নামে এক নারীর দেহে এ সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এ পদ্ধতিতে অপারেশনের সুবিধা হলো রোগীর রক্তক্ষরণ কম হয়, ব্যথা কম অনুভব হয়, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের অধীনে এই সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে প্রায় ৮-১০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন, এবং ৪-৫ ঘণ্টা সময়ে তা সফলতার সঙ্গে শেষ করেন।
আরোও পড়ুন: ওষুধ উৎপাদনে সেনাবাহিনী || যাত্রা শুরু আর্মি ফার্মা লিমিটেডের
জানা গেছে, ডাবল ভাল্ব অপারেশন হার্টের অত্যন্ত জটিল অপারেশন। এই এমআইসিএস পদ্ধতিতে মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত বিরল ঘটনা। ডা. সিয়াম বলেন, “সারাবিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে এ ধরনের আধুনিক পদ্ধতিতে এই অপারেশন হয়। আমরা সেই মাইলস্টোনে পা দিয়েছি এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। এখন আর বিদেশ যেতে হবে না, বরং বিদেশিরাই আমাদের দেশে হার্টের চিকিৎসা নিতে আসবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া ভবিষ্যতে হার্টের ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করারও চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।” ২০২৯ সালের ২৫ আগস্ট এমআইসিএস পদ্ধতিতে সরকারিভাবে প্রথম হার্টের ফুটোর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পথচলা শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
কার্ডিয়াক সার্জন সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম অপারেশনের জন্য ডা. সিয়ামকে অভিনন্দন জানাই। হার্টের চিকিৎসায় এটা একটা যুগান্তকারী মাইলফলক।”
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামালউদ্দিন বলেন, “এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, যে আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এ ধরনের কসমেটিক সার্জারি শুরু করতে পেরেছি। এ পদ্ধতিতে অপারেশনের সুবিধা হলো রোগীর রক্তক্ষরণ কম হয়। ব্যথা কম অনুভব হয়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারে।”
এ অস্ত্রোপ্রচারে অংশ নিয়েছিলেন- অনেস্থেটিকস্ হিসেবে অধ্যাপক ডা. শাহনাজ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. রোমেনা রহমান, ডা. আসিফ আহসান চৌধুরী ডা. ইমরান, ডা. মন্জুর, ডা. ওয়াহিদা, ডা. সায়েম, ডা. রুবাইয়াত, ডা. সৌরভ।