প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগারে শুধু বন্দি করেই রাখা হয়নি, তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জেলখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলীয় সভাপতি এসব কথা বলেন। আলোচনাসভাটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে আসার পরই বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়। ওই দিন তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। সেদিন তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে কথাগুলো বলেছিলেন, একে একে সব করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। অথচ, পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কেউ এত দ্রুত গড়ে তুলতে পারেনি। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কেবল বঙ্গবন্ধুর আমলেই ৯ শতাংশের বেশি হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিদেশি ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভারতের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।