নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতুডটকম: নিত্যপণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা লকডাউনের আওতাভুক্ত নয়। তারপরও গত বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে চলতি বছর লকডাউনের কারণে এখনো পণ্য সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে সোমবার (৫ এপ্রিল) সবজি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে সে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
অতিরিক্ত পণ্য মজুতের কারণে গত লকডাউনে পণ্যের দাম বেড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরাও সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছিলেন। ক্রেতারা সচেতন হলে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না
এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এটিএম ফারুক সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘রোববার (লকডাউনের আগের দিন) গ্রামে ফেরা মানুষের চাপে রাস্তায় প্রচুর যানজট ছিল। এ কারণে সবজির সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে আজ (সোমবার) রাত থেকে কোনো সমস্যা হবে না। গ্রামগঞ্জের হাট থেকে নির্বিঘ্নে সবজি আসছে।’
রাজধানীর ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার মৌলভীবাজার। তেল, চিনি, লবণের মতো নিত্যপণ্যের বেচাকেনা পুরান ঢাকার এ বাজারেই সবচেয়ে বেশি।
সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা বলেন, ‘লকডাউনে এখনো কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বরং লকডাউনের প্রথম দিন তেল-চিনির দাম পাইকারি বাজারে নিম্নমুখী ছিল। দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে সবাই খুব আন্তরিক। শিল্পকারখানারও উৎপাদন-বিপণন খোলা রয়েছে। সবমিলিয়ে এ বছর আগের মতো পণ্য নিয়ে উদ্বেগ নেই।’
গত বছর লকডাউনের শুরুতে কৃষি পণ্যের সাপ্লাই চেন ভেঙে পড়ে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের ক্ষতি হয়েছিল। এবার যেন সেই ক্ষতি না হয় সেজন্য আগেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে
একই ধরনের কথা জানিয়েছেন দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের সরবরাহকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পণ্য সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছি। নিজস্ব পরিবহনে দেশের সবখানে পণ্য যাচ্ছে। ফলে সরবরাহে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ফলে দাম বাড়বে না।’
এদিকে চলমান লকডাউনে রাজধানীর কাঁচাবাজার খোলা থাকছে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ কারণে প্রথম দিনে বিক্রি খুব বেশি হয়নি পাইকারি বাজারে। তবে গত বছর ক্রেতারা অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাজারে চাপ তৈরি করায় লকডাউনের শুরুর দিকে যেভাবে পণ্যের দাম বেড়েছিল, এবার তেমন হয়নি।