সকালে যাঁরা তাড়াতাড়ি ওঠেন তাঁদের তুলনায়, রাতে যাঁরা দেরি করে ঘুমোন তাঁদের শরীরে মেদ পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। আর সেই কারণেই, যাঁরা রাত জাগেন তাঁদের ডায়াবিটিস ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
রাতে বেশি ক্ষণ জেগে থাকলে ডায়াবিটিস ও হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে, সম্প্রতি আমেরিকার এক দল গবেষক এমনটাই দাবি করলেন। তাঁদের মতে, সকালে যাঁরা তাড়াতাড়ি ওঠেন তাঁদের তুলনায় রাতে যাঁরা দেরি করে ঘুমোন তাঁদের শরীরে মেদ পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। আর সেই কারণেই রাতজাগাদের ডায়াবিটিস ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।সকালে যাঁরা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন তাঁদের মেদ দ্রুত ঝরে, দেহে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। তাঁরা সারাদিন অনেক বেশি চনমনে থাকেন। গবেষকদের মতে, যাঁরা রাতে অনেক ক্ষণ জেগে থাকেন তাঁদের শরীরে মূল শক্তি উৎপাদন হয় কার্বহাইড্রেট থেকে। শারীরবৃত্তীয় চক্রে অনিয়মের জন্যই এমনটা হয়। গবেষকদের মতে, রাতে দেরি করে ঘুমোলেও সকালে কাজের তাড়ায় তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে হয় অনেককেই। আর তাই আট থেকে ন’ঘণ্টার ঘুম সম্পন্ন হয় না। আর সেখানেই হয় বিপত্তি। যাঁরা অফিসে রাতের শিফটে কাজ করেন তাঁদের মধ্যে ওবিসিটি, ডায়বিটিস ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
ঘুম কম হলে শরীরে যে সব স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়, সেগুলি মানুষের ওজন বাড়িয়ে দেয়। কম ঘুম, ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সুস্থ মানুষের ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। রুটিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কী ভাবে সুস্থ রাখবেন শরীর, জেনে নিন।
জল: চা কিংবা কফির বদলে ঘন ঘন জল খান। এতে আপনার ক্লান্তি দূরে হবে, মনঃসংযোগও বাড়বে।
ডায়েট: কাজের চাপে আমরা খিদে পেলেই অনেক সময় ছুটি ফাস্ট ফুডের পিছনে। তার বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। হাতের কাছেই রাখুন বাদাম, মাখানা, ফলের মতো খাবার।
ধ্যান: সময় সুযোগ করে দিনে কিছু ক্ষণ ধ্যান করুন। যোগার ওপরেও নির্ভর করতে পারেন। শরীরের পাশাপাশি মনকেও তরতাজা রাখার জন্য এটি খুবই ভালো উপায়।
পর্যাপ্ত ঘুম: রাত জাগা-জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে যদি আপনি রাত জাগা সত্ত্বেও অন্তত সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নেন। দেরিতে ঘুমোন বা তাড়াতাড়ি, পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ জরুরি।
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সারুন: বেশি রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। রাত জাগার ফলে স্বাভাবিক কারণেই রাতের খাবারের পরেও খিদে পেয়ে যায়। খুব খিদে পেলে হালকা স্ন্যাকস চলতে পারে, কিন্তু রাত ৮টার পরে ভারি খাবার বিপাক-হারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যায়াম: দিনে সময় মতো একটু শরীরচর্চা কিন্তু আপনার রাত জাগার কুপ্রভাব অনেকাংশে সরিয়ে রাখতে সক্ষম।