প্রচ্ছদ

নিউইয়র্কের ২০ ভাগ বাংলাদেশির বাস দারিদ্র্য সীমার নিচে


আমেরিকার বাণিজ্যিক রাজধানী জনপ্রিয় শহর নিউ ইয়র্কে বাস করা বাংলাদেশিদের মধ্যে ২০ ভাগই রয়েছেন দারিদ্র্য সীমার নিচে। এশিয়ান আমেরিকান ফেডারেশনের ২০১৯ সালের সব শেষ জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
জরিপের তথ্যের ব্যাপারে ফেডারেশনের কর্মকর্তা মীরা ভ্যানুগোপাল গত রোববার জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ফিলাডেলফিয়া, কানেকটিকাট অঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশি, চায়নিজ, পাকিস্তানী এবং নেপালি মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশই গরিবের চেয়েও গরিবানা হালে দিন পার করছেন।
এর মধ্যেও আবার বাংলাদেশিদের অবস্থা বেশি নাজুক। 
জরিপের সঙ্গে বাস্তবতার মিল আছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের এক সাংবাদিকও।
ভয়েজ অব আমেরিকাকে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে চার সদস্যের একটি পরিবারের বার্ষিক আয় যদি ২৬ হাজার ডলারের কম হয়, তাহলেই পরিবারটিকে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে বসবাসরকারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এর কারণ হিসেবে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, বাসা ভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু আয় বাড়েনি।  
এ জন্য বর্তমানে চার সদস্যের পরিবারের চলতে ২৬ হাজার ডলার খুবই কম। এ অবস্থায় বহু বাংলাদেশি নিউইয়র্ক ছেড়ে বাফেলো, শিকাগো, আপার ডারবি, হিউস্টন, ডালাসে চলে যাচ্ছেন।
স্বদেশি আমেজ ও সংস্কৃতিতে দিন কাটাতে অভ্যস্ত বাংলাদেশিরা। তাই এই অর্থ সংকটকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টাই করছেন সবাই। 
১০ বছরের ব্যবধানে চরম দারিদ্র্যের এই হার ১৫% বেড়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে জরিপের প্রতিবেদনে। 
২০১০ সালে নিউইয়র্কে এশিয়ান দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজারে। 
সিটি, স্টেট এবং ফেডারেল প্রশাসনের অনেক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে পরিচিত না থাকায় ন্যায্য পারিশ্রমিক তো দূরের কথা ব্যবসায়িক সুবিধাও পাচ্ছেন না নিউইয়র্কের অনেক বাংলাদেশি। ভোটের মাঠেও পিছিয়ে আছেন তারা। 
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানোর তাগিদ দিয়েছেন এশিয়ানদের বন্ধু কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।
তিনি এই জরিপ সম্পর্কে বলেন, অভিবাসী সমাজের নাজুক অবস্থার অনেক কিছুই আমরা জানতে পারলাম। এখন সে সব ইস্যুতে সরব হবো। 
এদিকে স্টেট সিনেটর জন ল্যু বলেছেন, এশিয়ানরা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা দূর করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা বাংলা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *