ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: করোনা মহামারি মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে। এবার জানা গেল, যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের টিকাটিও নিরাপদ ও কার্যকর। চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন গত বুধবার এ–সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এর আগে গত আগস্টের গোড়ার দিকেই নোভাভ্যাক্স দাবি করেছিল, তাদের উদ্ভাবিত সম্ভাব্য টিকাটি নিরাপদ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গতকাল পর্যন্ত হালনাগাদকৃত খসড়া তালিকার তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে ১৭৬টি সম্ভাব্য টিকা উদ্ভাবনের কাজ চলছে। এর মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ৩৪টি সম্ভাব্য টিকা। ওই টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত সম্ভাব্য টিকাটি। এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গেছে।
এ ছাড়া চীনের সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত টিকাগুলোও নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে এখন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকার খসড়া তালিকায় মানবদেহে পরীক্ষা কার্যক্রমের আওতায় থাকা ৩৪টি টিকার মধ্যে নোভাভ্যাক্সের টিকাও রয়েছে।
চীনের সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত টিকাগুলোও নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে এখন।
রাশিয়ার উদ্ভাবিত একটি টিকাও কার্যকর ও নিরাপদ বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে ওই টিকার অনুমোদনও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে চীনেও একটি টিকার স্বত্ব দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানকে।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, নোভাভ্যাক্সের টিকাটি নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেরেছে। প্রাথমিকভাবে গত মে মাসে ১৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকের ওপর চালানো পরীক্ষার ফলাফল এটি। প্রতিজন স্বেচ্ছাসেবককে ২১ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।