নিখিল মানখিন, ধূমকেতু ডটকম: মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধিত) আইন-২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার আড়াই বছর কেটে গেছে। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা অনেক চিকিৎসকই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের উপর স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। মানবদেহে সংযোজনযোগ্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করাতে গিয়ে হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেক রোগী। অনেক সময় রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটছে। আর দালালদের প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন অনেক রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণের পরিধি বাড়িয়ে এবং আত্মীয়ের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করে গত ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে একটি বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ কর্তৃক গৃহীত আইনটি ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করেছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হয়।
মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধিত) আইন-২০১৮তে বলা হয়েছে, ‘অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ’ বলতে মানবদেহের কিডনি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চোখ, চর্ম ও টিস্যুসহ মানবদেহে সংযোজনযোগ্য অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গকে বোঝাবে। এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসব সংযোজনের অনুমতির জন্য হাসপাতালগুলোকে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত ইউনিটে এসব সংযোজনের ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে না।
আত্মীয়ের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করে আইনে বলা হয়েছে- পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও রক্ত সম্পর্কিত আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা-নানি, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি, আপন চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাইবোনেরাও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন। আইনে আরও বলা হয়েছে, স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসুবিধার আশঙ্কা না থাকলে একজন স্বাভাবিক ও সুস্থ ব্যক্তি তার নিকটাত্মীয়কে চোখ ছাড়া সংযোজনযোগ্য অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো দিতে পারবেন। তবে চোখ ও অস্থিমজ্জা সংযোজন ও প্রতিস্থাপনে নিকটাত্মীয় হওয়ার প্রয়োজন হবে না।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজনের বিষয়টি খুবই জটিল ও স্পর্শকাতর। কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ না করলে সংযোজনের নামে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়ে যায়। একটি বিশেষ চক্র সাধারণ মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে কেনাবেচা করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। যা একদিকে আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ, অন্যদিকে মানবাধিকার লংঘন। তাই মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজনের কাজটি অত্যন্ত দায়িত্ববান হয়ে সম্পন্ন করা উচিত বলে মনে করেন অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত।
জীবিত কর্তৃক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান :
সুস্থ ও স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন কোনো জীবিত ব্যক্তি তার এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যা বিযুক্তির কারণে তার স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ব্যাঘাত সৃষ্টির আশংকা না থাকলে তা তার কোনো নিকট আত্মীয়ের দেহে সংযোজনের জন্য দান করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, চক্ষু, চর্ম, টিস্যু ও অস্থিমজ্জা সংযোজন বা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয় হওয়ার প্রয়োজন হবে না। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিযুক্তকরণ:
কোনো ব্যক্তির দেহ হতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য কোনো ব্যক্তির দেহে সংযোজনের উদ্দেশ্যে তখন বিযুক্ত করা যাবে যদি উক্ত ব্যক্তি জীবদ্দশায় স্বেচ্ছায় তার কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করে থাকেন। উল্লিখিত দানের অবর্তমানে উক্ত ব্যক্তির ব্রেইন ডেথ ঘোষণার পর তার কোনো আইনানুগ উত্তরাধিকারী যদি উক্ত ব্যক্তির দেহ হতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিযুক্ত করার জন্য লিখিতভাবে অনুমতি প্রদান করলেও সংযোজনের জন্য বিযুক্ত করা যাবে। কোনো ব্যক্তির ব্রেইন ডেথ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দাবীদার না থাকলে ব্রেইন ডেথ ঘোষণাকারী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব পালনকারী ব্যক্তিই অথবা চক্ষু, চর্ম, টিস্যু বিযুক্তকরণের ক্ষেত্রে মৃতদেহ অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট বা প্রতিষ্ঠান বা স্থানে থাকলে উক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থান যে জেলা প্রশাসকের প্রশাসনিক এখতিয়ারাধীন তিনি বা, ক্ষেত্রমত, তার নিকট হতে এতদুদ্দেশ্যে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি অনুরূপ বিযুক্তির জন্য লিখিত অনুমতি প্রদান করেন, তখন সংযোজনের জন্য বিযুক্ত করা যাবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দাতা ও গ্রহীতার যোগ্যতা:
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দাতা হিসাবে কোনো ব্যক্তি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন না, যদি― ব্রেইন ডেথ ঘোষিত ব্যক্তির, ক্যাডাভেরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহের ক্ষেত্রে, বয়স ২ বছরের কম অথবা ৭০ বছরের বেশি হয়: তবে শর্ত থাকে যে, চক্ষু, চর্ম, টিস্যু ও অস্থিমজ্জা সংযোজন বা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। জীবিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, বয়স ১৮ বছরের কম অথবা ৬৫ বছরের বেশি হলে অঙ্গদানকারী হতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃউৎপাদনশীল টিস্যুর ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা রক্ত সম্পর্কীয় ভাই বা বোন হলে অথবা চক্ষু, চর্ম, টিস্যু ও অস্থিমজ্জা সংযোজন বা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।
অঙ্গদাতা মৃত্যুর পূর্বে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানে লিখিত আপত্তি করে থাকলে, দাতার সংশ্লিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা কোনো কারণে নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকলে, তার চক্ষু, অস্থিমজ্জা ও যকৃত প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্র ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে, এইচ.বি.এস.এ.জি, এন্টিএইচ.সি.বি অথবা এইচ.আই.ভি পজেটিভ থাকলে এবং তিনি মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে অযোগ্য বলে ঘোষিত হলে অঙ্গদাতা হতে পারবেন না।
এছাড়া অঙ্গদাতা যদি চর্ম বা মস্তিষ্কের প্রাইমারী স্টেজ ক্যান্সার ব্যতিত অন্য যে কোনো ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, কিডনী সংক্রান্ত রোগ, এইচ. আই. ভি এবং হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত কোনো রোগে আক্রান্ত হলে অঙ্গদাতা হতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, ক্ষেত্র বিশেষে মেডিকেল বোর্ড কিংবা প্রত্যয়ন বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে যকৃত প্রতিস্থাপনে উক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া মেলিগন্যান্ট হাইপারটেনশনই, চক্ষু ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্র ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে ইনস্যুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস ম্যালাইটাসই এবং জীবাণু সংক্রমণজনিত রোগে (আনট্রিটেড বা ইনএডিকুয়েটলি ট্রিটেড সিস্টেমিক ইনফেকশন) আক্রান্ত হলেও অঙ্গদাতা হতে পারবে না।
এদিকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহীতা হিসাবে কোনো ব্যক্তি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন না, যদি―তার বয়স ২ বছর হতে ৭০ বছর বয়সসীমার মধ্যে না হয়: তবে শর্ত থাকে যে ১৫ বছর হতে ৫০ বছর পর্যন্ত বয়সসীমার ব্যক্তিগণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহীতা হিসাবে অগ্রাধিকার লাভ করবেন: আরও শর্ত থাকে যে, কর্ণিয়া, চর্ম ও টিস্যু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া তিনি যে সকল রোগের কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বা সংযোজনের সাফল্য বিঘ্নিত হতে পারে সেই সকল রোগে আক্রান্ত হলে এবং তিনি মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে অযোগ্য বলে ঘোষিত হলে অঙ্গ গ্রহীতা হতে পারবেন না।
মেডিকেল বোর্ড গঠন ও উহার কার্যাবলি:
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্জারীতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক পদমর্যাদার ১ জন চিকিৎসক, অন্যূন সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার ১ জন এ্যানেসথেসিওলজিস্ট এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি বা চিকিৎসক। মেডিকেল বোর্ড, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনধিক দুই জন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
মেডিকেল বোর্ডের কার্যাবলি :
মেডিকেল বোর্ড অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দাতা ও গ্রহীতার আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ধারণ করবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। ব্রেইন ডেথ ঘোষিত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত প্রদান এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে অগ্রাধিকার নির্ধারণের সুপারিশ প্রদান করবে। কোন হাসপাতালে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের কার্যক্রম সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে সরকার, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোনো অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক বা সমপদমর্যাদার কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন সমন্বয়কারী হিসাবে নিয়োগ করবে। কোনো ব্যক্তির ব্রেইন ডেথ ঘোষণা করা হইলে তৎসম্পর্কে উক্তরূপ ঘোষণাকারীগণ অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন সমন্বয়কারীকে অবহিত করবেন এবং উক্ত সমন্বয়কারী মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ ও সংযোজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অপরাধ ও দণ্ড:
কোনো ব্যক্তি নিকট আত্মীয়তা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে অথবা উক্তরূপ তথ্য প্রদানে উৎসাহিত, প্ররোচিত বা ভীতি প্রদর্শন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। কোনো ব্যক্তি উল্লেখিত অপরাধ ব্যতিত এই আইনের অন্য কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অথবা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হবেন। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য কোনো চিকিৎসক দন্ডিত হলে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক তার প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন বাতিলযোগ্য হবে।
হাসপাতাল কর্তৃক অপরাধ সংঘটন:
কোনো হাসপাতাল কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে, অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন হাসপাতালের পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, তিনি যে নামেই পরিচিত হোক না কেন, উক্ত অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে, যদি না তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে এবং তা রোধ কবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কোনো হাসপাতাল কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের অনুমতি বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য অর্থ দণ্ড আরোপ করা যাবে।
এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮ এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।
আরো পড়ুন: