ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: দেশ ও প্রবাসে করোনায় অপরিসীম ভূমিকার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে ‘আজীবন সম্মাননা’ পেলেন বালাদেশী আব্দুল কাদের মিয়া। নিউজার্সির আটলান্টিক সিটির সার্ফ স্টেডিয়ামে হাজারো প্রবাসীর উচ্ছ্বল উপস্থিতিতে এই অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই অঞ্চলের ৪ সিটির মেয়রকে পাশে নিয়ে বিপুল করতালির মধ্যে এই অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় পাশে ছিলেন প্লিজ্যান্টভিল সিটির মেয়র জুডি এম ওয়ার্ড, নর্থফিল্ড সিটির মেয়র আর্লেন্ড চো, এ্যাগ হারবার সিটি মেয়র লিসা জিয়াপেটি এবং এবসিকনের মেয়র কিম্বার্লি হরটন।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির উদ্যোগে এই ‘বাংলাদেশ মেলা’য় স্থানীয় কংগ্রেসম্যানের প্রতিনিধি ছাড়াও ছিলেন স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ভিঞ্চ মেজো এবং জন আরমেটো। ছিলেন ডজনখানেক সিটি কাউন্সিলম্যান। সকলকে মঞ্চে অভিবাদন জানান হোস্ট সংগঠনের সভাপতি শহীদ খান, সেক্রেটারি সোহেল আহমেদ, মেলা কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ সেলিম এবং সদস্য-সচিব ফরহাদ সিদ্দিক।
মানব সেবার এই সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণের পর অনুভূতি ব্যক্তকালে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, এমন সম্মানে ভূষিত করায় সামনের দিনে আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও রয়েছি, সামনের দিনেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। এজন্যে সকলের দোয়া চাচ্ছি।
ক্যাসিনো সিটি হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত আটলান্টিক সিটির প্রবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি’র এই মেলার পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন উপস্থাপক আশরাফুল হাসান বুলবুল। মেলামঞ্চে সবকিছু ছাপিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল এলাকার শতাধিক শিশু-কিশোরের উপস্থিতি। এরা নিজ নিজ ক্লাসে বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ কাউসারের সৌজন্যে সকলকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এগুলো বিতরণ করেন সিটি মেয়রসহ মেলার প্রধান অতিথি আব্দুল কাদের মিয়া। এভাবে সম্মানীত হওয়ায় আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারি এসব শিশুর সকলেই অভিভূত মা-বাবার সংস্কৃতির প্রতি। তাদেরকেও নাচ-গানে মেতে থাকতে দেখা গেছে।
করোনাকালে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্যে আটলান্টিক সিটির সাংবাদিক আকবর হোসেনকে ‘আজীবন সম্মাননা’ ক্রেস্ট প্রদান করেন আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল। এ সময় বিশেষভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় করোনায় মৃত্যুবরণকারি সমাজকর্মী পার্থ চৌধুরী এবং অভিজিৎ চৌধুরীর প্রতি। তাদের সন্তানদের মঞ্চে ডেকে বিশেষভাবে শান্তনা দেয়া হয়। প্রয়াত দুই সমাজকর্মীর কমিউনিটি সার্ভিসের জন্যে সিটি মেয়র এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ক্রেস্ট প্রদান করেন। আর এভাবেই এসোসিয়েশনের মধ্যদিয়ে মূলধারার সাথে প্রবাসীদের সম্পর্কের ভিত মজবুত হচ্ছে বলে অনেকে উল্লেখ করেন।
মেলায় ঝাল-মুড়ি, চটপটি ছাড়াও ছিল বাঙালি রসনায় পরিপূর্ণ পিঠা ও খাবারের স্টল। পোশাকের স্টলেও সারাক্ষণ ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই মেলা একসময় কানায় কানায় পূর্ণ হয় এবং শশীসহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গিতের মূর্চ্ছনাও প্রবল হয়ে উঠেছিল।