ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা যখন বাড়ছে, তার মধ্যেই ভারতের জন্য আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ভারত সম্ভবত করোনার ‘এন্ডেমিক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই পর্যায়কে মহামারির শেষের শুরুও বলা যেতে পারে। যে পর্যায়ে পৌঁছে একটা জাতি ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখে যায়, ভাইরাসকে সঙ্গী করেই জীবন কাটায়, সেই পর্যায়কে ‘এন্ডেমিক’ বলা হয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারত অতিমারির এই পর্যায়ের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে সৌমা বলেছেন, ”আমরা এন্ডেমিসিটির এমন পর্যায়ে যাচ্ছি, যেখানে সংক্রমণের কম বা মাঝারি প্রভাব দেখা যাবে। কিন্তু কয়েকমাস আগের মতো লাফিয়ে বেড়ে চলা সংক্রমণ সম্ভবত আর হবে না।”
তবে এন্ডেমিক পর্যায়ে একেবারেই সংক্রমণ হবে না— এমনটা নয়। ভারতের মতো বিশাল দেশে কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে পারে বলে মত সৌমার। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ”ভারতে বিভিন্ন রকমের লোকের বাস। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাসিন্দাদের প্রতিরোধ ক্ষমতারও ফারাক রয়েছে। তাই এ রকম দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির ওঠানামা চলতে পারে। বিশেষত যে সব এলাকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ছিল কম বা যে এলাকায় টিকাকরণ হয়েছে সীমিত, সেখানে আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়তে পারে।”
২০২২ সালের মধ্যে করোনা-পূর্ব জীবনে দেশবাসী ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শিশুদের ব্যাপারে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।