নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা, বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি হচ্ছে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু নিজের নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে কখনো বিচ্যূত হননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি প্রদানে সে-সময়ের চলমান আন্দোলনের পক্ষে সম্মত করাতেও সক্ষম হয়েছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেননি, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তিনি একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সূচনাও করেছিলেন।
ডাক ও টেলিডোগাযোগ মন্ত্রী সোমবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৫ আগস্ট’-এর শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড) শাখা আয়োজিত এক ভার্চুয়্যাল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের (বিপিপি) টেলিটক শাখার সভাপতি প্রকৌশলী রনক আহসানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবি’-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন, আইইবি’-এর সম্মানীয়-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) বক্তৃতা করেন।
বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট দেশী-বিদেশী শোষক, ধনিক গোষ্ঠী, সাম্রাজ্যবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌঁছায়নি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী ৬ বছরের শরণার্থী জীবন শেষে শেখ হাসিনা ’৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন পুনর্গঠন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ‘বঙ্গবন্ধু-ঘোষিত’ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশ গড়ার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী ‘বাংলাদেশ মডেল’ হিসেবে স্থান পেয়েছে। একইসঙ্গে এটি শেখ হাসিনার মডেল হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে।
তারা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে ২০৪১ সালে নয়, ২০২০ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পরতাম।