বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দুই সন্তানের জননী বলিউড তারকা কারিনা কাপুর। তার সন্তানদের একজনের নাম তৈমুর, অন্যজনের জাহাঙ্গীর। এই দুই ছেলের কেউ অভিনয়ে আসুক সেটা চান না কারিনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
এইচটি ব্রাঞ্চকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারিনা কাপুর খান জানান, বড় ছেলে তৈমুরকে টিম বলে ডাকেন তিনি। আর ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরকে জেহ নামে।
ম্যাগাজিনের কভার শুটের পরই বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে বসে সাক্ষাৎকার দেন কারিনা। বলেন, ‘ছয় মাস বয়সের সময় বেশি মানুষ পছন্দ করত না তৈমুর, কিন্তু জেহ (জাহাঙ্গীর) স্বাচ্ছন্দ্য।’ তিনি বলেন, ‘তৈমুরের ব্যক্তিত্ব অনেকটাই ওর বাবা সাইফের মতো। জাহাঙ্গীর আমার ও সাইফের দু’জনেরই ব্যক্তিত্ব পেয়েছে। টিম ধনু রাশির। সে খুব শিল্প মনস্ক, শৈল্পিক বিষয়ে ওর আগ্রহ আছে। ছবি আঁকতে ভালবাসে, রং করতে পছন্দ করে। বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে টিমের। জে মীন। দেখি ওর আগ্রহ কীসে তৈরি হয়…।’
২০১৬ সালে তৈমুরের জন্মের আগে আট মাস অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এইচটি ব্রাঞ্চের সঙ্গে ফটোশুট করেন করিনা। বলিউডের অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম এই ধরনের শুট করেন তিনি। দুইবার গর্ভাবস্থায় নিজের কাজ চালিয়ে গেছেন করিনা। বিজ্ঞাপন ও সিনেমা করেছেন। কারিনা বলেন, ‘আমির খানের সঙ্গে লাল সিং চাড্ডার একটি রোম্যান্টিক দৃশ্যের জন্য অভিনয় করেছি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়।’
কেমন মা হতে চান করিনা? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি চাই আমার দুই পুত্রই ভদ্রলোক হোক। তারা দয়ালু হোক। তা হলেই ভাববো, আমার জীবন সার্থক। তবে আমি চাইনা ওরা সিনেমার হিরো হোক। আমি খুশি হব, যদি টিম এসে আমাকে বলে আমি অন্য কিছু করতে চাই… মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ হতে পারে… যেটা তার পছন্দ। আমি ছেলেদের পাশে দাঁড়াতে এবং সমর্থন করতে চাই।’
সন্তানদের সব বিষয়ে অতিরিক্ত নাক গলাতে বিশ্বাসী নন করিনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নই। চাই ওরা নিজেরা পড়ে গিয়ে শিখুক। কারণ এভাবেই আমার মা আমাদের শিখিয়েছেন। মা কোনদিন কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন না। বলতেন, নিজেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নাও। কোন ভুল হলে সেটা থেকেই শিক্ষা নাও। আমিও বিশ্বাস করি সেই পন্থায়। বিশ্বাস করি, নিজের ভুল থেকেই সবচেয়ে বড় শিক্ষা লাভ করা যায়। দুই ছেলেক সে ভাবেই বড় করতে চাই। কিন্তু টিমের ব্যাপারে বলতে পারি, ও অনেক বেশি সজাগ। ওকে এখন থেকেই বলেছিল, ভুল করলে সেটা তোমাকেই শুধরে নিতে হবে। এভাবেই শিক্ষা লাভ করা যায়।’