ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুম শুরু হবে সামনেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আলোচনাও চলছিল। আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ানদের ফেরা নিয়ে তাই সংশয় ছিল খানিকটা। তবে সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের এই টুর্নামেন্টে খেলার অনুমতি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মৌসুমের শুরুর ভাগে খেলতে পারবেন না শীর্ষ ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ। গত বছরও আইপিএলের কারণে তারা খেলতে পারেননি। সেবার কোভিডের কারণে আইপিএল পিছিয়ে হয়েছিল ওই সময়টায়। এবার গত মে মাসে আইপিএল শুরু হলেও পরে স্থগিত হয়ে যায়। বাকি সেই অংশটি হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
এই সময়টায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আলোচনাও চলছিল। তবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে ওই সিরিজ বাতিল করার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই নিজেদের ক্রিকেটারদের আইপিএলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অবশ্য আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আফগান বোর্ড। তবে ভেন্যু খুঁজে পাচ্ছে না তারা এখনও।
অস্ট্রেলিয়ার আইপিএলে ক্রিকেটারদের ৮ জন সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের দলে ছিলেন না-ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, জাই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন ও ড্যানিয়েল স্যামস। তাদের মধ্যে কামিন্স আইপিএলে ফিরছেন না সন্তানসম্ভবা সঙ্গিনীর পাশে থাকার জন্য। অন্য ৭ জনের ফেরার কথা।
বাংলাদেশ সফরের দলে থাকা ৯ জনেরও আইপিএল চুক্তি আছে-জশ হেইজেলউড, রাইলি মেরেডিথ, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, মেইজেস হেনরিকেস, মিচেল মার্শ, জেসন বেহরেনডর্ফ, অ্যাডাম জ্যাস্পা, অ্যান্ড্রু টাই ও জশ ফিলিপি। হেইজেলউড ও মার্শ গত মে মাসে আইপিএল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেদের। এখন তারা খেলতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ খেলতে পারবেন না চোটের কারণে।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস লিন, ন্যাথান কোল্টার-নাইল ও বেন কাটিংয়ের আইপিএল চুক্তি আছে।