গ্রীষ্মের আগমনে আগেভাগেই গরমের তীব্রতা জানান দিচ্ছে। রোদের প্রখরতাও বেড়ে চলেছে ইচ্ছামতো। শীতের ঠিক পর মুহূর্তেই আসা এই আবহাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নেয়া বেশ কষ্টকর। শরীর ভুগছে পানি শুন্যতায়, ত্বকে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। ব্রণ, র্যাশ, ব্লাকহেডস, হোয়াইট হেডস এর যন্ত্রণা আয়নার সামনে নিজেকে করে তুলছে অপ্রস্তুত। কিন্তু আবহাওয়া শুধু আপনার সঙ্গে শত্রুতাই করছে না, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দিচ্ছে দারুন কিছু সমাধান। মৌসুমের শুরুতে বাজার ভরে গেছে সুস্বাদু ফল তরমুজে। তরমুজ খেতে মজা, স্বাস্থ্য উপকারী আবার ত্বকের জন্যও আর্শীবাদ বটে। ভিটামিন এ, বি, সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে সজীব করে, পাশাপাশি উজ্জ্বল ও নরম রাখে। তাই খাওয়ার পাশাপাশি তরমুজ দিয়ে হোক উপযুক্ত রূপচর্চা।
* তৈলাক্ত ত্বকে বাতাসে উড়ে বেড়ানো ধুলা ময়লা খুব সহজেই ধরে রাখে। এসব ময়লা দিনভর আপনার ত্বককে দেয় অস্বস্তিকর অনুভূতি। ঘরে ফিরে দেখা যায় ত্বকে ব্রণ আর র্যাশে ভরে গেছে। তাই ত্বকের স্বস্তি দিতে দরকার উপযুক্ত ক্লিনজার। ত্বকের ওপর আটকে থাকা ময়লা খুব গভীর থেকে পরিষ্কার করে স্বস্তি দিতে ক্লিনজারের কোনো তুলনা নেই। তরমুজের রস ও প্রাকৃতিক পরিষ্কারক লেবুর রস আপনার ত্বকের জন্য হতে পারে উপকারী ক্লিনজার। প্রতিদিন সকালে এটি লাগিয়ে অল্প ম্যাসাজ করুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, নিশ্চিত উপকার পাবেন।
* মাস্ক হিসেবেও তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে মটর ডালের বেসন, তরমুজের রস, সয়াবিনের গুঁড়ো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। তৈলাক্ত মুখ মুয়ে পান ত্বকে টানটান অনুভূতি।
* শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্যও আছে তরমুজের রূপচর্চা। তরমুজ, পাকা কলা, সয়াবিনের গুঁড়ো নিন। সয়াবিন গুঁড়োর বদলে চালের গুঁড়ো বা ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার সামান্য ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন, হাসছে আপনার ত্বক।