প্রচ্ছদ

পরিস্থিতির উন্নতি: ভারতে করোনা শনাক্ত এখন ৩ শতাংশের নিচে

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৮৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৮১৭ জন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সবশেষ তথ্য নিয়ে ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৫৫৭। করোনায় মারা যাওয়া মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৮।

ভারতে টানা ৩১ দিন ধরে ৫ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তার মধ্যে টানা ১৭ দিন ধরে শনাক্ত হচ্ছে ৩ শতাংশের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

ভারতে করোনা থেকে রোগীদের সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এই হার ৯৭ শতাংশের বেশি। ভারতে ৩৬ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা স্তিমিত হয়ে এলেও দেশটিতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা আছে। এই সমালোচনার মধ্যে গতকাল বুধবার মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রদবদলে বাদ যাওয়াদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর ডেপুটি আছেন। তাঁদের বাদ দেওয়ার বিষয়টি করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার একধরনের স্বীকারোক্তি।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ে। গত ৭ মে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। ২৩ জুন ছাড়ায় তিন কোটির মাইলফলক। গত ২৩ মে করোনায় মৃত্যু তিন লাখের মাইলফলক ছাড়ায়। আর ২ জুলাই মৃত্যু চার লাখের মাইলফলক ছাড়ায়।

বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভারতের দখলে। গত ২২ এপ্রিলের আগপর্যন্ত এ রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত। ভারতের পর ব্রাজিল। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার ওপরে। ব্রাজিল দ্বিতীয়। ভারত তৃতীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *