নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম : বছরে দেশে মোট উৎপাদনের প্রায় ৬৫ শতাংশ খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। দেশের কৃষকরা বছরে (ধান, গম, বার্লি, কাওন ইত্যাদি) ৫ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ২৪৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন। তার মধ্যে নিজেদের খাবারের জন্য তারা ব্যবহার করেন ২ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন, যেটা মোট উৎপাদনের ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাকি ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে বা বাজারে বিক্রি করেন তারা, যার হার ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সম্প্রতি ‘কৃষি পণ্যের স্থুল বাজারজাতকৃত উদ্বৃত্ত জরিপ ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
ডাল জাতীয় পণ্যের বিষয়ে বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাল জাতীয় পণ্যের উৎপাদনের পরিমাণ ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০৮ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্ত থাকে বা নিজের প্রয়োজন মেটানোর পর কৃষক বাজারে বিক্রি করে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬০৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ডাল জাতীয় পণ্যের ৮১ দশমিক ১০ শতাংশ বাজারে বিক্রি করে কৃষক।
তৈল বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ১০ লাখ ২১ হাজার ৪২৯ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্ত থাকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৩৯ মেট্রিক টন (৭৮.৮০ শতাংশ)। তন্তু উৎপাদনের পরিমাণ ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬ মেট্রিক টন (৯৮.৬৪ শতাংশ)।
সুপারি উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৩ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩২২ মেট্রিক টন (৮৫.৪২ শতাংশ)। গো-খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন। আর উদ্বৃত্ত পরিমাণ ৪১ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন (১৭.০৫ শতাংশ)।
সবজি উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৯১ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৯০ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন (৭০.০১ শতাংশ)। শাক উৎপাদনের পরিমাণ ৩ লাখ ৪০৬ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন (৭৭.১৯ শতাংশ)।
তামাক উৎপাদনের পরিমাণ ৮৯ হাজার ২৭৪ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৮৭ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন (৯৮.২৪ শতাংশ)। পান উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৪ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ২ লাখ ১২ হাজার ৮৪৪ মেট্রিক টন (৯৯.২৪ শতাংশ)।
মসলা উৎপাদনের পরিমাণ ২৫ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ২২ লাখ ৩১ হাজার ১০১ মেট্রিক টন (৮৬.২৮ শতাংশ)। ফল উৎপাদনের পরিমাণ ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন। তার মধ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৬ মেট্রিক টন (৭৯.৮২ শতাংশ)।