ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: “টিকার ডাবল ডোজ নিয়ে করোনা সংক্রমণের হার দুই শতাংশের কম। আর মৃত্যু নেই বললেই চলে। আর প্রথম ডোজ নিয়ে আক্রান্ত হলেও কেউই খুব বেশি কাবু হচ্ছে না।”
ভারতের চলমান সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালচনা করে এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান ডা. কে কে আগারওয়াল।
আর এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিকল্প সোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি বেগবান করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান জানান, “ভ্যাকসিন নেয়ার পর আক্রান্তের হার কত তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিশ্লেষণ বলছে দ্বিতীয় ডোজ নিলে আক্রান্তের সংখ্যা দুই শতাংশের কম। আর প্রথম ডোজ নিয়ে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর হার শূন্যের কাছাকাছি।”
আরোও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে পালানো ভারত-ফেরত সেই করোনা রোগীদের আটক করলো পুলিশ
অন্যদিকে বাংলাদেশে এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা দেয়া হলেও মোট জনসংখ্যার মাত্র ছয় শতাংশ টিকার আওতায় আসবে। এ বাস্তবতায় সংক্রমণের গতি না নামলেও এরই মধ্যে প্রথম ডোজ বন্ধ করার ঘোষণা এসেছে। ভারত এবং বৈশ্বিক ফলাফল বিবেচনায় যে কোনো মূল্যে ভ্যাকসিনেশন চালু রাখার পরামর্শ দিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
তিনি বলেন, “সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে, আমরা আশা করি দ্রুতই ভিন্ন উৎস থেকে টিকা পাব।”
কিছু গবেষণায় এমন দাবিও আছে, “দ্বিতীয় ডোজটা যদি ভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ফ্লাটফর্মের তৈরি ভ্যাকসিন দেয়া হয় তাহলে বাড়তি সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।”