দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
দলটির পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, ইউনেস্কো যে আইএলও সনদের ভিত্তিতে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ নির্ধারিত হয়েছে দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে তা নিশ্চিত হয়নি। স্বাধীনতার ৫ দশকেও জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে, আবসরকারী শিক্ষকরা বঞ্চনার শিকার হয়।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
তারা বলেন, শিক্ষকরা আদর্শ ও মানবতাবাদী জাতি গঠনের কারিগর হলেও আমাদের দেশে তাদের অধিকার এবং মর্যাদা বিষয়ে হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ জাতি গঠনে তাদের অবদান অসামান্য। ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বব্যাপী সব সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সর্বাধিক। তারাই সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষকদের অবস্থা তেমন নয়। দেশে শিক্ষকরা সমাজে উপেক্ষিত ও বঞ্চিত।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আর্থিক দৈন্যদশা ও সামাজিক বঞ্চনা দেশের বেসরকারি শিক্ষকসমাজের প্রধান সমস্যা। তাদের বঞ্চনা-দুঃখ-যাতনার বেশির ভাগই অব্যক্ত। করোনাকালে ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিওসহ সর্বস্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাঝে মধ্যে সংবাদমাধ্যমে শিক্ষকদের আর্তনাদের দু-একটি চিত্র জানা যায়। এতেই বোঝা যায় বেসরকারি শিক্ষকরা কেমন আছেন।
তারা আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এমন প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সরকারের কাছে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, সবার চাকরি জাতীয়করণের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।