বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া দফতর।

এর প্রভাবে ভারতের উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জেলেদের আগামী সোমবার পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এবারের ঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘গুলাব’ নামে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই অতি গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। রোববার উড়িষ্যা দক্ষিণে এবং অন্ধ্র প্রদেশের উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ।

দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।

এর সময় ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হত। কিন্তু সেসব নাম্বার সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়।

এবারের ‘গুলাব’ নামটি পাকিস্তানের প্রস্তাব করা। নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *