বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাংলাদেশের ডাবিং শিল্পের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘প্ল্যাটফর্ম মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং’ দেশের বিনোদন পিপাসু দর্শকদের জন্য বিদেশি চলচ্চিত্র ও সিরিয়াল বাংলায় ডাবিংয়ের ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত করেছে বিশ্বনন্দিত ও জনপ্রিয় ইরানি সিরিয়াল ‘ব্লু হোয়েল’ ।
নতুন বছরের শুরুতে (২০২২ সালের জানুয়ারি) একুশে টিভির পর্দায় সম্প্রচার হতে যাচ্ছে বাংলায় ডাবিং করা জনপ্রিয় এই ইরানি ধারাবাহিকটি।
সিরিয়ালটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’ সুইসাইডাল চ্যালেঞ্জ গেমের নামে, যা ২০১৬ সালে পুরো বিশ্বজুড়ে বহুল সমালোচিত হয়েছিল।
কম্পিউটার সায়েন্সের তুখোড় মেধাবী ছাত্র আরমিন। কিন্তু বাইরের জগতের মানুষের সঙ্গে তার তেমন মেলামেশা নেই বললেই চলে। সে নিজেকে সারাদিন অনলাইনে বই পড়ার ওয়েবসাইটে ডুবিয়ে রাখে। ওয়েবসাইটটি সে নিজেই তৈরি করেছে। আরমিনের বাবা কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং তার মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=DqaWvgze3n4
সেই ওয়েবসাইটে আরমিনের সঙ্গে পরিচয় হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী মিস যালেহ আদিব এর। যালেহ আরমিনের আর্থিক সংকট সম্পর্কে জানতে পারে এবং একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজের সুযোগ করে দেয়, যেখানে যালেহ আগে থেকেই গ্রাফিক্সের কাজ করতো। আরমিন ঐ কোম্পানিতে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুন্দরী মিস আনাহিতার (অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী লায়লা হাতামি) সঙ্গে পরিচিত হয়। আরমিনকে কোম্পানির ওয়েবসাইট নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আরমিনের জীবনের নতুন অধ্যায় এবং ‘ব্লু হোয়েল’ ধারাবাহিকটির গল্প।
অস্কার বিজয়ী বিখ্যাত অভিনেত্রী লায়লা হাতামি ছাড়াও সিরিয়ালটিতে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোমান্টিক তারকা মোস্তফা যামানি (যিনি শেহেরজাদ-ফরহাদ সিরিয়ালে ফরহাদ চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন)।
৭৫-পর্বের সিরিয়ালটি বাংলা ডাবিং করেছে প্ল্যাটফর্ম মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং। ডাবিং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মাহবুব মারুফ। “ব্লু হোয়েল” সিরিয়ালটিতে বাংলাদেশের থিয়েটার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন।
প্ল্যাটফর্ম মিডিয়া এন্ড মার্কেটিং, এর আগেও বাংলায় ডাবিংকৃত বেশ কয়েকটি বিদেশি ধারাবাহিক যেমন- ‘শেহেরজাদ ফরহাদ’, ‘জান্নাত’, ‘কারবালা কাহিনী, ‘বিবি মরিয়ম ও ঈসা নবী’, এবং ইরানি বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘বডিগার্ড’, ‘মাজার-ই-শরীফ’, ‘কিংডম অব সোলায়মান’, ‘অ্যা টেল অব লাভ’, ‘অ্যা কিউব অব সুগার’-সহ ২৫টির বেশি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের দর্শকদের উপহার দিয়েছে।