শম্পা কর, ধূমকেতু বাংলা:
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সকালটা যেন এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলো। বাংলার আকাশে সেদিন আরো উজ্জ্বল, আরো উত্তাপ ছড়ানো নতুন এক সূর্য উদিত হয়েছিলো। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের আর কোটি কোটি শোকার্ত মানুষের আহাজারির সঠিক মূল্য দিতে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজ পতাকা সগৌরবে মাথা তুলেছিলো আকাশের দিকে, সেই সাথে গোড়াপত্তন হয়েছিলো একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের। পৃথিবীর মানচিত্রে সগৌরবে স্থান করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেদিনের সেই শিশু “বাংলাদেশ” আজ পঞ্চাশে পদার্পণ করেছে।
৫০ বছর আগের এই দিনে বাংলার মানুষ দীর্ঘদিনের পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে প্রাণভরে স্বাদ নিয়েছিলো মুক্ত বাতাসের। স্বাধীন দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেদিন ওই মানুষগুলোর অনুভূতি ছিলো মিশ্র! একদিকে বিজয়ের আনন্দে, অন্যদিকে প্রিয়জন হারানোর শোকে আর চারপাশের ধ্বংসস্তুপে জমে থাকা হতাশায় তাদের অভিব্যক্তি কি ছিলো তা ভাবলেও যেন গায়ে কাঁটা দেয়। তবে তাদের ছিলো স্বপ্ন দেখার সাহস আর ছিলো সেই স্বপ্ন পূরণের অদম্য মনোবল। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় জর্জরিত যুদ্ধে বিধ্বস্ত একটি দেশ সেদিন এই মানুষগুলোকে নিয়ে নতুন এক পথে যাত্রা শুরু করেছিলো।
শূন্য হাতে শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের পদযাত্রা। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বিধ্বস্ত। কিন্তু বাঙালির ছিলো এক অমূল্য সম্পদ, একজন অকুতোভয়, সাহসী, দূরদর্শী আর বুদ্ধিদীপ্ত এক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর জনসন আর হেনরি কিসিঞ্জার যে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিলো স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তার উচিত জবাব দিতেই সেই তলাবিহীন ঝুঁড়ির দেশটার বুননের কাজ সার্থকভাবে শুরু করেছিলেন। এবং সেই ঝুঁড়ি আজ মাত্র ৫০ বছরে সমৃদ্ধে ভরে উঠেছে। বাংলাদেশের এতো অল্প সময়ের নিন্ম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশের পথে উত্তীর্ণ হওয়ার সফলতা এখন সারা বিশ্বে ঈষর্ণীয়।
বাংলাদেশ এই ৫০ বছরে প্রায় সামগ্রিক ক্ষেত্রেই অনেক দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ। সেই সাথে অবকাঠামো নির্মাণেও এসেছে বিপুল উন্নয়ন। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের ওয়ার্ল্ড লিগ টেবিল ২০২১ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে- উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ বছর পর বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান হবে ২৫তম।
৫০ বছর পর বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। আজ বাংলাদেশের শহর-গ্রামই যেখানেই তাকানো হোক না কেন ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ে। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের অবকাঠামো বিনির্মাণের শুরু হয়ে এবং ধীরে ধীরে সামনে এগোতে থাকে। তবে গত দশ বছরে তা এক্সপ্রেসে রূপ নেয়। অভাবনীয়ভাবে এই খাতে উন্নয়ন আসে। গেল এক দশকে বর্তমান সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর সড়ক যোগাযোগ, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সারা দেশে আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।
যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন
সড়ক, সেতু, রেল বিমান সব ক্ষেত্রেই লেগেছে উন্নয়ের ছোঁয়া। এসব ক্ষেত্রে একের পর এক মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের রূপ আমূল বলদে দিচ্ছে।
সড়ক ও সেতু: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্ন যমুনা বহুমুখী সেতু বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ সমাপ্তির মাধ্যমেই যেন এই খাতে উন্নয়নের সূচনা হয়েছিল। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ এবং বিশ্বে ১১তম এই সেতুর কাজ ১৯৯৪ সালে শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালে শেষ হয়। ২০০১ সালে ভিত্তি প্রস্তর হয় লালন শাহ সেতুর এবং উন্মুক্ত হয় ২০০৪ সালে। এরপর গত দশকে যেন এখাতে বিপ্লব আসে। এরপর একে একে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়ক, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে ঢাকা-মাওয়া চার লেনের সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে চার লেনের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছে। বাংলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষামাত্র! সেই সাথে বাস র্যাপিড ট্রানজিট, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু, পায়রা সেতু, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেন্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, সাসেক সংযোগ সড়ক-২, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনধারা।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে র্যাম্পসহ ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের কাজও চলছে।
রেলপথ: ২০০৯ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার গুরুত্ব দেয় দীর্ঘদিনের অবহেলিত রেলপথে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন রেলপথ। রেলপথ উন্নয়নে ২০১৬-২০৪৫ মেয়াদে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান নেওয়া হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার, রেলপথকে ডুয়াল গেজে রূপান্তরকরণ, নতুন ও বন্ধ রেলস্টেশন চালু করা, নতুন ট্রেন চালু ও ট্রেনের সার্ভিস বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনের কোচ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এখন মানুষ বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখছে। আর ঢাকার মেট্রোরেল তো চলাচলে জন্য ট্রায়েলে আছে।
নৌপরিবহন: অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নৌপথকে গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। নৌদুর্ঘটনা হ্রাস ও নৌনিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি নৌপথের নাব্যতা বৃদ্ধি, নৌবন্দরগুলোর উন্নয়ন ও সমন্বিত ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের কাজ চলছে। নদীর তীরে ভূমি দখলমুক্ত রাখতে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্যাংক প্রকেটশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও অন্যান্য নাব্যতা উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর পণ্য হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন কনটেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড, বে-টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ ও জলযান সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আকাশপথের উন্নয়ন: দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতার মান ও পরিধি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ চলমান। কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাগেরহাট জেলায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণসহ যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশাল বিমানবন্দর এবং রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও নবরূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ খাতে
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ অঙ্গীকারকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎসহ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট। দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা। বর্তমানে ১৬ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। দুই হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিস্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। তা ছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। সরকার। পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী এলাকাকে পাওয়ার হাব হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, মাতারবাড়ীতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট, পায়রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৬২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। আরো এক হাজার ২২১ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।
ভবন, স্থাপনা, সৌন্দর্যবর্ধন
সরকার দেশের স্কুল, কলেজগুলো একই আদলে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। নতুন ভাবে তৈরি হয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পানি ভবন, আর্কাইভ ভবন। সচিবালয় বিনির্মাণের পরিকল্পনাও আছে। জেলা শহরের প্রশাসনিক ভবনগুলোর উন্নয়ের কাজ চলছে। নির্মিত হয়েছে নান্দনিক অনেক মসজিদ। অনেক শহরেই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তৈরি হয়েছে নানা ভাস্কর্য, কৃত্রিম লেক (যেমন হাতিরঝিল), উদ্যান। রাস্তার লেনগুলোর মাঝে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক গাছ।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন তার ভারত: ‘উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ গ্রন্থে লিখেছেন, বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে, এ কথা কেউ ভাবেনি। দেশ স্বাধীনের পর অনেকেই তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেউ কেউ তাকে ‘বাস্কেট কেস’ বলে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, এ দেশকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়াই উচিত নয়। কারণ, সে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাদ্যোত্পাদন করে উঠতে পারবে না। তিনি আরো বলেছেন, জীবনমানের নানা সুপ্রচলিত মাপকাঠিতে বাংলাদেশ কেবল ভারতের চেয়ে অনেক ভালো করছে না, অনেকটা এগিয়েও গেছে।
সত্যি বিজয়ের এই ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের রোল মডেল’।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হতে এবং উন্নত দেশের কাতারে যেতে এখন অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। ৮৭ হাজার গ্রামের মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। তবে বেশকিছু গ্রাম আছে, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা যায়নি। অতিদ্রুত এই গ্রামগুলোও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় আনা জরুরি।
আরো পড়ুন: