প্রচ্ছদ

টাইমের ‘পার্সন অব ইয়ার’ হলেন ইলন মাস্ক

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ অভিযান সংস্থা স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককে টাইম ম্যাগাজিন বর্ষসেরা ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মাস্ক সারা বছর অটোমোবাইল থেকে মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একের পর এক উচ্চতা ছুঁয়ে সারা বছর খবরের কেন্দ্রে আছেন। টাইম-এর এডিটর-ইন-চিফ এডওয়ার্ড ফেলসেনথাল সোমবার মাস্ক সম্পর্কে বলেছেন, ‘তিনি পৃথিবীতে জীবনকে এবং সম্ভবত পৃথিবীর বাইরেও জীবনকে নতুন আকার দিচ্ছেন।’

২০০২ সালে মাস্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। চলতি বছরে তারা শুধুমাত্র বেসামরিক ক্রু নিয়ে মহাকাশ প্রথম মহাকাশ অভিযান করে ইতিহাস তৈরি করেছে। সেই ক্রু সদস্যদের মধ্যে একজন ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া শিশুও ছিল। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ইলন মাস্ক এই গ্রহের ধনীতম ব্যক্তি, তার আনুমানিক সম্পদ ২৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেলসেনথাল বলেছেন, ‘আমরা চাই বা না চাই, আমরা এমন এক যুগে রয়েছি, যেখানে আমাদের জীবনের অনেক কিছু, এই অত্যন্ত ধনী কারিগরি ক্ষেত্রের নেতারাই তৈরি করছেন’ ৷ মাস্ককে টাইম ম্যাগাজিন বর্ণনা করেছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটির নিজের কোনও বাড়ি নেই এবং সম্প্রতি তিনি তার ভাগ্যও বিক্রি করে দিয়েছেন’, বলে।

টাইম মাস্কের সম্পর্কে আরও বলেছে, ‘তিনি কক্ষপথে উপগ্রহ নিক্ষেপ করেন এবং সূর্যশক্তিকে ব্যবহার করেন। তিনি এমন একটি গাড়ি তৈরি করেছেন যা গ্যাস ব্যবহার করে না এবং ড্রাইভারের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। তার আঙুলের টোকায় স্টক মার্কেট ওঠে-নামে। তার প্রতিটি উচ্চারণে ভক্তরা আন্দোলিত হয়। চৌকো চোয়াল এবং অদম্য মনোভাব নিয়ে পৃথিবীর সিংহাসনে বসে তিনি মঙ্গল গ্রহের স্বপ্ন দেখেন। ইদানীং, ইলন মাস্ক তার মলত্যাগকেও লাইভ-টুইট করতে পছন্দ করেন’।

১৯২৭ সাল থেকে প্রতি বছরের শেষে ‘টাইম’স পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব দিয়ে আসছে টাইমস ম্যাগাজিন। এটি আদতে কোনও পুরস্কার বা সম্মান না হলেও, গত এক বছরে বিশ্বে যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের প্রভাব সবথেকে বেশি ছিল তাকে তুলে ধরে এই মনোনয়ন। ইতিমধ্যেই টাইমস-এর পক্ষ থেকে ২০২১ সালের ‘হিরোস অফ দ্য ইয়ার’-এর হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে গবেষণা করা গবেষকদের। তাদের ‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার্স’ বলেছে টাইমস। এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর টইমস ‘অ্যাথলিট অফ দ্য ইয়ার’ এবং ‘এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার’ হিসাবে যথাক্রমে সিমোন বাইলস এবং অলিভিয়া রড্রিগোর নাম ঘোষণা করেছিল।

আরো পড়ুন:

তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *