মাতৃভূমি

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কোথায় গেলেন মুরাদ?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে গেছেন কানাডা ও দুবাই থেকে প্রত্যাখ্যাত সদ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়া বহুল আলোচিত ডা. মুরাদ হাসান। তবে কানাডায় ঢুকতে ব্যর্থ মুরাদ ঘুরেফিরে ঢাকায় ফিরলেও ধানমন্ডির নিজ বাসায় যাননি।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফেরেননি বলে জানা গেছে।

ঢাকায় মুরাদের তিনটি বাসার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর একটি রাজধানীর শান্তিনগরে, একটি ধানমন্ডিতে এবং অপরটি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া মিন্টো রোডে।

তবে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কারণে মুরাদ মিন্টো রোডের বাসার অধিকার এরই মধ্যে হারিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দের ওই বাসায় তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময়েও খুব একটা যাননি। শান্তিনগরের বাসাতেও তার তেমন যাতায়াত নেই।

দেশ ছাড়ার দুদিন পর রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদ হাসানকে বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় ফেরেন। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে থাকার পর বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সম্প্রতি নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসা ডা. মুরাদ।

স্বাভাবিকভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে বের হওয়ার কথা থাকলে গণমাধ্যমের নজর এড়াতে এদিন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাতারে বের হন মুরাদ। পরে ঢাকা মেট্রো-গ-৪৩-৩১০৮ নম্বরের একটি গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

ডা. মুরাদ তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যাচ্ছেন কি না- সে ব্যাপারেও এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এরইমধ্যে জামালপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে জামালপুরে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও সম্প্রতি তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পাঠানো হয়। সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতির প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

মুরাদের ফেরার দিন তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।

গত ১০ ডিসেম্বর রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ডা. মুরাদ কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু কানাডার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে সে দেশে ঢুকতে দেয়নি। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার নাতনি ও একজন চিত্রনায়িকাকে নিয়ে অশ্লীল ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ডা. মুরাদ। এরপর থেকেই বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। তবে সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দেশেই ফিরে আসতে হয় তাকে।

আরো পড়ুন:

দেশে ফিরেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন ডা. মুরাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *