নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কাজ শুরু করেছে। গত মাসের শেষে এ সংক্রান্ত প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্সফ্যাট-মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা ২০২১ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ নানান রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, অনেকের অকাল মৃত্যুও ঘটে। ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
সাধন মজুমদার বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আমরা এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসরণ করে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে সর্বোত্তম নীতি গ্রহণ করেছি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যাবে।
প্রবিধানমালা যাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত জনবলের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিন এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবিটরের সাউথ এশিয়া রিজিয়নের পরিচালক বন্দনা শাহ।
আরো পড়ুন:
মার্চে মুক্তি পেতে পারে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিক: তথ্যমন্ত্রী