ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাজনিত জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে আপাতত বিদেশভ্রমণ স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
ডব্লিউএইচওর ভ্রমণ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, যাদের কোভিড-১৯–সংক্রান্ত মারাত্মক জটিলতায় ভোগার ও মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের উচিত ভ্রমণ স্থগিত রাখা। পাশাপাশি ৬০ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী কিংবা হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও একই পরামর্শ দেওয়া হলো।’
বিশ্বজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চলার মধ্যেই সম্প্রতি শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটির নতুন ধরন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন । ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে ডব্লিউএইচও। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার আগের সব ধরনের চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন করোনার অন্য ধরনের তুলনায় কম নাকি বেশি মারাত্মক, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন তারা। আফ্রিকা অঞ্চলে প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় এই অঞ্চলের দেশগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তবে এ ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে ডব্লিউএইচও।
গতকাল ডব্লিউএইচওর ভ্রমণ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঢালাওভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যাবে না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জীবন ও জীবিকাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। একই সঙ্গে এ পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের দেশগুলো রোগতত্ত্ব ও ভাইরাসের জিন–সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য প্রকাশে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আর এতে মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে।
এর আগে গত রোববার সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোভিড-১৯-এর বিস্তার সামান্য কমানো গেলেও তা জীবন ও জীবিকাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এসব বিধিনিষেধ অহেতুক আক্রমণাত্মকভাবে আরোপ করা উচিত নয়। এগুলো বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে।
আরো পড়ুন:
ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুত হোন: ডব্লিউএইচও