নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশে আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং সভা-সমাবেশ সীমিত করাসহ চারটি সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৮তম সভায় বিশদ আলোচনার পর এসব সুপারিশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর বিস্তার রোধ করার জন্য এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সে অঞ্চলের কয়েকটি দেশ (জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, সোয়াজিল্যান্ড) থেকে যাত্রী আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফ্লাইটসহ)।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪ সুপারিশ
১. এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও এসব দেশ এবং যেসব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
২. কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (বিগত ১৪ দিনে) ইতিহাস থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ এর টেস্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে।
৩. প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল-কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হলো।
৪. কোভিড-১৯ এর পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
এদিকে করোনার এই নতুন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সুইজ্যারল্যান্ডে সরকারি সফরে যাত্রা করেও মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে এসেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশে ফিরে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি এবং এই ভাইরাসটি খুবই অ্যাগ্রেসিভ। সে কারণে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ এখন স্থগিত করা হচ্ছে। সব এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে বা দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সারা দেশেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং মুখে মাস্ক পরার বিষয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: